Advertisement


হোয়ানকে স্কুলের শ্রেণি কক্ষে ঢুকে মাদক কারবারির হুঙ্কার


নিজস্ব প্রতিবেদক।।
মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের ডেইল্যাঘোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাস চলাকালীন সময়ে শ্রেণি কক্ষে ঢুকে প্রাতিষ্ঠানিক কর্মচারি আলা উদ্দিন(২৬)কে  ছুরি নিয়ে হত্যা করার উদ্দেশ্য মারধর করার চেষ্টা চালিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে একই এলাকার  গাঁজা কারবারির আনছারের পরিবারের বিরুদ্ধে। 

গত ২৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় এঘটনা ঘটে। এতে বেশ আতংকে রয়েছে শিক্ষক-ছাত্র-ছাত্রীরা।

তানিয়া, তারিমা,তমজিদ, সাবিদসহ বেশ কয়েকজন ছাত্রছাত্রী বলেন ক্লাস রুমে এসে এক ব্যক্তি ছুরি নিয়ে এসে আমাদের দাদুকে(আলা উদ্দিন)কে মারতে আসে। আমরা খুব ভয় পেয়েছি।
 
স্থানীয়রা জানান, গাঁজা মদ ও ইয়বা নিয়ে ছোটখাটো বব্যসা করে যুব সমাজ ধ্বংস করে দিচ্ছে বলে আনছার ও তার স্ত্রীর সহ ৩ প্রতিবন্ধী বোন। তাদের কাছে গাঁজা ইয়াবা কিনতে বিভিন্ন এলাকার লোকজন এসে মাদক সেবন করে। এনিয়ে স্থানীয়রা বেশ কয়েকবার নিষেধ করলেও তারা কথা শুনেন না।
যুবসমাজ ও এলাকা থেকে মাদক ও গাঁজা বেচা-কেনা বন্ধ করতে স্থানীয় ইউপি সদস্যের সহযোগিতা স্থানীয় কয়েকজন যুবক মিলে প্রতিবাদ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এতেই একজন ছিলেন ডেইল্যাঘোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অস্থায়ী প্রতিষ্ঠানিক কর্মচারী আলা উদ্দিন।  সেই বিষয় গাঁজা কারবারি আনছার জানতে পারলে ছুরি নিয়ে তার স্ত্রী সাকেরা বেগমসহ আরও কয়েকজন এসে আলা উদ্দিনকে বিদ্যালয়ে ঢুকে হামলার চেষ্টা করলে বাঁধা দেন উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা হাজেরা বেগম।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ডেইল্যাঘোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা হাজেরা বেগম বলেন, গাঁজা নিয়ে নাকি প্রতিবাদ করায় আমার বিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠানিক ভাবে অস্থায়ী এক কর্মচারীকে ক্লাস রুমে ঢুকে ছুরি নিয়ে হামলা করতে আসলে আমি দৌড়ে গিয়ে কোন রকম রক্ষা করেছি। এই নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা খুবই আতংকে আছে। আমি বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ফোনে অবগত করেছি৷

এবিষয়ে  ভুক্তভোগী আলা উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন,  এলাকার যুবসমাজের ধ্বংস হচ্ছে মাদক,ইয়াবা ও গাঁজা সেবনে। এ নিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও কয়েকজন সচেতন নাগরিকের সহযোগিতায় একটি সংগঠন করে প্রতিবাদ করতে গেলে আনছার, তার বউ সাকেরা ও শালি সহ ছুরি নিয়ে এসে ক্লাস রুমে এসে আমাকে হত্যা করার জন্য হামলার চেষ্টা করলে প্রধান শিক্ষক এসে রক্ষা করে। বর্তমানে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছি এবং প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।  

ডেইল্যাঘোনা ও আধাঁরঘোনা দুই ইউপি সামশুল আলম ও আবু আহমদ জানান উক্ত পরিবার এলাকার চিহ্নিত গাঁজা কারবারি পরিবার। তাদের কারণে যুব সমাজ ধ্বংস হচ্ছে। তাদেরকে বেশ কয়েকবার নিষেধ করা হয়েছে। শুক্রুবার জুমার নামাজের পর এলাকাবাসীদের নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করা হবে বলেও জানান।

এবিষয়ে মহেশখালী থানার ওসি প্রণব চৌধুরী বলেন, এ নিয়ে কেউ এখনো অভিযোগ করেনি। খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে  এবং   মহেশখালী থানা পুলিশের মাদকের বিরোধী অভিযান চলমান রয়েছে বলেও জানান৷