Advertisement


মহেশখালীতে কলেজ ছাত্র আরফাত হত্যার খুনীদের গ্রেফতারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ


রকিয়ত উল্লাহ ও সুব্রত আপন।।  মহেশখালী ডিগ্রি কলেজের অনার্স ১ম বর্ষের ছাত্র মো. আরফাত উদ্দিনকে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে খুনীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা পালন করেছে মহেশখালী ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

২৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় মহেশখালী ডিগ্রি কলেজের প্রধান ফটকে মহেশখালী কলেজ শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীবৃন্দের ব্যানারে এ মানববন্ধন আয়োজন করেন। এতে কলেজের কয়েক-শতাধিক ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষকেরা অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন একাধিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থী। তারা বলেন- মহেশখালী কলেজের মেধাবী ছাত্র আরফাতকে সামান্য গরু জমির ক্ষেত নষ্ট করাকে কেন্দ্র করে পরিকল্পিত ভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। খুনীদের দ্রুত সময়ে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তি না দিলে আরও কঠোর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা।

২৫ সেপ্টেম্বর (রবিবার) বেলা ১২টার দিকে বড় মহেশখালীর আলমগীর ফরিদ টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজ মাঠ সংলগ্ন জনৈক আবুল কাছিমের কৃষি জমিতে একই এলাকার শফর মল্লুকের পুত্র শাহ আলম ও সালাম মিয়া ড্রাইভারের বাড়ির একটি গরু ধানক্ষেতে ঢুকে ক্ষেত নষ্ট করে। এ নিয়ে উভয় পক্ষে বাকবিতন্ডা হয়। পরবর্তীতে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি সমাধানও হয়। পরে রবিবার রাত ৯ টার দিকে আবুল কাছিমকে আবারও গাড়ি অবরোধ করে তাকে মারধর করেন। খবর পেয়ে তার সন্তান সোহেল এবং ভাতিজা কলেজ ছাত্র আরফাত  উদ্ধার করতে গেলে পরিকল্পিত ভাবে স্থানীয় সফর মুল্লুকের পূত্র  ছালাম মিয়া ড্রাইভার,শাহ আলম,তৌহিদ সহ ও বেশ কিছু নারীসহ সড়কের উপরই লাঠিসোঁটা নিয়ে তাদের উপর হামলা করে। এতে মারাত্মক ভাবে আহত হন আরফাত ও সোহেল। তাদের প্রথমে উদ্ধার করে মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়া যাওয়া হয়। কর্তৃব্যরত চিকিৎসক আঘাত গুরুত্বর হওয়ায় তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখানে আহত আরাফাতের অবস্থার অবনতি হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে। সেখানে চট্টগ্রাম ট্রিটমেন্ট হাসাপাতালে দুইদিন আইসি’তে থাকার পর ২৭ সেপ্টেম্বর আরাফাতের মৃত্যু হয়। উক্ত ঘটনায় নিহতের মা কহিনুর বেগম একটি হত্যা মামলা করলেও এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।  

নিহত আরফাত  বড় মহেশখালী ইউনিয়নের জাগিরাঘোনা এলাকার মোঃ জালাল উদ্দীনের পূত্র এবং  বড়মহেশখালী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ৭নং ওয়ার্ডের সভাপতি ছিলেন।