Advertisement


মহেশখালীতে জেলেদের সাথে প্রশাসনের সভা, ভ্রাম্যমাণ অভিযানে জব্দ করা জাল পোড়ানো হয়


নিউজরুম।। মহেশখালীতে মা ইলিশ সংরক্ষণে জেলেদের মাঝে জনসচেতনতামূলক মত বিনিময় অনুষ্টিত হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে  মহেশখালী উপজেলা হল রুমে  উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইয়াছিন এর সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মহেশখালী উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুর রহমান খান। পরে আজ মহেশখালীর আশপাশের নদীতে মৎস্য অধিদপ্তর ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালনা করে এবং অবৈধ জাল জব্দ করে তা পুড়িয়ে দেয়।

এতে আরও বক্তব্য রাখেন মহেশখালী থানার পরিদর্শক তদন্ত আব্দুর রাজ্জাক মীর, উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের সাধারন সম্পাদক মিজানুর রহমান। মেরিন ফিসারীজ অফিসার আলাউদ্দিনের পরিচালনায় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন মহেশখালী প্রেসক্লাব সভাপতি আবুল বশর পারভেজ।

এ আগে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালী উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

সভায় বক্তারা বলেন, একটি পরিপক্ক মা ইলিশ ২৩ লক্ষ পর্যন্ত ডিম ধারণ করে। এই বছর ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম ৭-২৮ অক্টোবর পর্যন্ত। সরকারের ঘোষনা অনুযায়ী মোট ২২ দিন ইলিশসহ সকল প্রকার মংস্য আহরণ বন্ধ থাকবে। এ সময়কালে সারাদেশে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ এবং দন্ডনীয় অপরাধ।

এ আইন বাস্তবায়নের লক্ষে মৎস্য অধিদপ্তর, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড, বিজিবি, র‌্যাব ও পুলিশ নিয়োজিত থাকবে।

এ সময় অবৈধ ভাবে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ ও ক্রয়-বিক্রয়ের তথ্য মৎস্য দপ্তরে জানানোর আহবান জানানা মহেশখালী উপজেলা মা ইলিশ রক্ষা বাস্তবায়ন কমিটি।

এ আইন অমান্যকারীকে কমপক্ষে ১ বছর থেকে সর্বোচ্চ ২ বছর সশ্রম কারাদন্ড অথবা পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত করা হবে বলে সভা থেকে জানানো হয়। এদিকে আজ দুপুরে মহেশখালীর আশপাশের নদীতে মৎস্য অধিদপ্তর ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালনা করেন। এ সসয় বিপুল অবৈধ জাল জব্দ করা হয়। পরে তা জনসম্মুখে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।