Advertisement


মহেশখালীতে চাঁদা না দেওয়ায় ঘরে ঢুকে মা ছেলেকে কুপিয়ে জখম


ফুয়াদ মোহাম্মদ সবুজ।।
পরিশ্রমের টাকা জমিয়ে রেখেছেন একটু আয়েশে থাকার জন্য, কিন্তু তা আর হলোনা। জমানো টাকার একটি ভাগ চাঁদা হিসেবে দিতে হবে স্থানীয় সন্ত্রাসী মোহাম্মদ রিদুয়ানকে। গত ১৩ অক্টোবর সন্ধ্যায় ধারালো দা নিয়ে স্থানীয় মোজাফফর আহমেদের বাড়িতে  হাজির রিদুয়ান। বাড়িতে ১১ বছর বয়সী হাফেজ শিক্ষার্থী মোফাচ্ছের ও মা হাসিনা বেগম বসে আছেন। সন্ত্রাসী রিদুয়ান অতর্কিতভাবে বাড়িতে ঢুকে চেয়ে বসেন নগদ টাকা ও স্বর্নলংকার। দিতে অস্বীকৃতি জানালে ধারালো দা দিয়ে শিশু শিক্ষার্থীর সামনেই কুপাতে থাকে মা হাসিনা বেগমকে, বাঁধা দিতে আসলে সে শিশু শিক্ষার্থীর পায়েও কুপ দেয় পাষণ্ড রিদুয়ান।

কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলা হোয়ানক ইউনিয়নের পূর্ব কালাগাজি পাড়ায় ঠিক এ ঘটনাটিই ঘটেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘটা এ ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন ও আহত পরিবারের অন্য সদস্যরা জখমী হাসিনা বেগম ও শিশু শিক্ষার্থী মোফাচ্ছেরকে দ্রুত চকরিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়, পরে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন তাদের। তাঁরা বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

জানা গেছে, স্থানীয় চোর খ্যাত নব্য সন্ত্রাসী রিদুয়ান দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় উশৃংখল সৃষ্টি করে আসছিলো। মানুষকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করার পাশাপাশি জিম্মি করে চাঁদা দাবি করেন এ সন্ত্রাসী। সবশেষ হাসিনা বেগম ও শিশু শিক্ষার্থী মোফাচ্ছেরকে কুপিয়ে জখম করার পর এলাকা ত্যাগ করেন তিনি। আহতের স্বামী মোজাফফর আহমদ সব খবরকে জানান, সেদিন সন্ধ্যায় আমার বউ ছেলেকে সতর্ক করতে ফোন করেছিলাম, আমার স্ত্রী ফোনে কথা বলা অবস্থায় সে আমার পরিবারকে কুপায়। কুপানোর সাথে অকাথ্য ভাষায় গালমন্দ করে কিল ও লাথি মারার আওয়াজ পাচ্ছিলাম ফোনে। সন্ত্রাসী রিদুয়ান একই এলাকার আবুল কালামের পুত্র। মূলত বাপের সাহসে এ কাজ করছে রিদুয়ান বলে জানান জখমীর স্বামী মোজাফফর আহমদে।

এ বিষয়ে মহেশখালী থানার অফিসার ইন-চার্জ প্রণব চৌধুরী সব খবরকে বলেন, ঘটনার বিষয়ে জানতে পেরেছি। এখনও (এ রিপোর্ট লেখা অব্দি) কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে অপরাধীর বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।