২৭ নভেম্বর রবিবার উক্ত ইউনিটের শুভ উদ্বোধন করেন মহেশখালী কুতুবদিয়া আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক এমপি।
এ সময় রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ হাসপাতালটির ডাক্তার নার্স ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন ৷
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, নির্ধারিত সময়ের আগে জন্ম নেওয়া শিশু, কম ওজনে জন্ম নেওয়া শিশু, যে সকল শিশুরা মায়ের গর্ভ হতে জন্ডিস ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে জন্ম গ্রহণ করে সে সকল শিশুদের চিকিৎসা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে নবজাতক পরিচর্যা কেন্দ্রটি চালু করা হয়েছে ৷
এ কেন্দ্রের আওতায় ফটোথেরাপী, ইনফ্যান্ট রেডিয়েন্ট ওয়ার্মার, অক্সিজেন সেবাসহ নানান চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হবে বলে জানা যায় ৷
জানা গেছে- আধুনিক ও উন্নতমানের যন্ত্রপাতিতে সজ্জিত একটি কক্ষে মোট পাঁচটি বেড সংযোজন করা হয়েছে, কম ওজনে জন্মগ্রহণ করা এক নবজাতককে চাইল্ড হেল্থ কনসালটেন্ট, নার্সিং এক্সপার্টদের তত্বাবধানে চিকিৎসা সেবা প্রদান ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।
দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর একমাত্র হাসপাতালে নবজাতক পরিচর্যা কেন্দ্রটি চালু হওয়ার মাধ্যমে চিকিৎসা সেবায় অনেক দূর এগিয়ে গেছে হাসপাতালটি ৷ এখন হতে রাতবিরাতে কক্সবাজার শহর সহ নানান প্রান্তে দৌড়ঝাপ করতে হবে না ৷ ঘরের কাছেই এখন উন্নত চিকিৎসা সেবা পাওয়া যাবে। -জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
মহেশখালী হাসপাতালের প্রধান কর্মকর্তা ডা. মো. মাহফুজুল হক জানিয়েছেন- ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের অর্থায়নে ইউনিসেফের কারিগরী সহযোগীতায় এইচজিএসপি প্রকল্পের আওতায় কেন্দ্রটি চালু করা হয়েছে ৷ প্রায় এক সপ্তাহ পূর্বে কেন্দ্রটি চালু করা হলেও আজ আনুষ্ঠানিকভাবে এর শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে ৷ এই কেন্দ্রটি স্থাপনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে মহেশখালীতে শিশু মৃত্যুর হার কমিয়ে আনা ৷ তাছাড়া ইতোপূর্বে উক্ত প্রকল্পের আওতায় মহেশখালী হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটার, ক্যাঙ্গারু মাদার কেয়ার বা কেএমসি চালু করা হয়েছে ৷ এ সকল ইউনিট চালু হওয়ার ফলে চিকিৎসা সেবায় মহেশখালী হাসপাতাল আরও বহু ধাপ এগিয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি ৷