Advertisement


প্রবাসীর স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়েছে? কুতুবজোমের জনৈক কাদের, এলাকায় চাঞ্চল্য


নিজস্ব প্রতিবেদক।৷
  মহেশখালীতে কাতার প্রবাসীর স্ত্রীকে নিয়ে ব্যবসায়ী আবদুল কাদের নামের এক ব্যক্তি পালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে ঘটনার বিষয় উল্লেখ করে ওই নারীর পরিবার ও স্বামীর পরিবার থানায় আলাদা ভাবে লিখিত জানিয়েছে। তবে পরে নারীর পরিবার জানাচ্ছেন- ওই পরিবারের সদস্যদের সাথে অভিমান করে আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন। অভিযোগ ওঠা -কাদের জানিয়েছেন- এ অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, তিনি বাড়িতেই আছেন।

সূত্র জানায়- অভিযুক্ত আবদুল কাদের উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের পশ্চিম পাড়া গ্রামের হোছন আহমদের পুত্র।

এদিকে ওই গৃহবধূর স্বামী কাতার প্রবাসী জসিম উদ্দিন হোয়াটসঅ্যাপে এক অডিও বার্তায় জানিয়েছেন- বিভিন্ন সময় আবদুল কাদের তার স্ত্রীকে বিরক্ত করতো। এক পর্যায়ে তার স্ত্রীকে ফুসলিয়ে বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে কাদের। বিষয়টি জানার পর তিনি কাদেরকে বেশ কয়েকবার বাঁধা দেন। কিন্তু কাদের এসব বাঁধা না মেনে গত ২ ডিসেম্বর বিকেলে তার স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যায়। তিনি আরো জানান, তার স্ত্রী কাদেরের সাথে পালিয়ে যাওয়ার সময় নগদ টাকা, স্বর্ণলংকার ও তার ৫বছরের কন্যা সন্তানকেও নিয়ে যান। তিনি এখন সব হারিয়ে বিদেশে অসহায় দিনাতিপাত করছেন। অড়িও বার্তায় কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি এসব অভিযোগ তুলেন। তিনি এ নিয়ে কুতুবজোম ও  মহেশখালীবাসীর কাছে এ ঘটনার বিচার প্রার্থনা করেন।

ভুক্তভোগী প্রবাসী জসিম উদ্দিনের পিতা আবুল হোছেন জানান- তার ছেলের সাথে ওই নারীর পারিবারিক ভাবে ৬বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক বছর পর অভিযুক্ত আবদুল কাদেরের সাথে তার পুত্রবধুর পরকিয়া সম্পর্ক হয়৷ বিষয়টি জানার পর কাদেরকে একাধিকবার সতর্ক ও বারণ করা হয়। কিন্তু তারা তা মানেননি। ২ডিসেম্বর তারা পালিয়ে যায়। বিষয়টি জানার পর আইনগত সহায়তা পেতে তিনি মহেশখালী থানায় জিডি দায়ের করেছেন।

এদিকে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে- ওই গৃহবধুর পিতা আবদুর রশিদ তার মেয়েকে উদ্ধারের জন্য আবদুল কাদেরকে অভিযুক্ত করে মহেশখালী থানায় একটি অভিযোগও জমা দেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অভিযুক্ত আবদুল কাদের তার মেয়েকে নিয়ে যায়। ওই সময় তার মেয়ে আলমিরা থেকে নগদ ২ লাখ ৯০ হাজার টাকাও নিয়ে গিয়েছিল। -থানায় দেওয়া অভিযোগে উল্লেখ।

অপরদিকে বিষয়টি প্রকাশ পেলে এলাকায় আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠে। অনেকেই জানান, অভিযুক্ত কাদের বিকৃত যৌন ত্রুটিযুক্ত চরিত্রের লোক। সে বিয়ের প্রলোভনে বিভিন্ন মেয়েদের অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলেন। পরে টাকা জোরে তা ধামাচাপা দিতেন। এই বিষয়টিও তিনি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছেন।

এই বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত আবদুল কাদের বলেন- তাকে জড়িয়ে প্রকাশ পাওয়া বিষয়টি সত্য নয়, তিনি সে থেকে বাড়িতে আছেন। এটি একটি ষড়যন্ত্র।

[ তবে অনুসন্ধান বলছে কিছুটা ভিন্ন কথা। আরও বিস্তারিত আসছে। ]