Advertisement


মহেশখালীতে পিতা ও সৎ ভাইদের নির্যাতনে হুমকি মুখে স্কুল শিক্ষকের জীবন, থানায় অভিযোগ


নিজস্ব প্রতিবেদক।। পিতা,চাচা-সৎ ভাইদের নির্যাতনে এক স্কুল শিক্ষকের জীবন হুমকির মুখে পড়েছে। একের পর এক নির্যাতনের শিকার হচ্ছে নিজের পিতা ও সৎ ভাইদের হাতে। প্রথমে ঘরে তালাবদ্ধ পরে বসত ভিটায় চলাচলের জায়গায় ঘেরা দেওয়াসহ নানা অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন উত্তর নলবিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মৌলানা মঞ্জুর৷ তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন  শিক্ষক হওয়ার মানসম্মানের ভয়ে সকল নির্যাতন সয্য করে স্থানীয় গনমান্য ব্যক্তিদের বিচার-শালিশ দিলেও কোন কর্ণপাত করে না।  বরং সৎ ভাইদের পরোচনায় তাদের সাথে নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ,মারধর, গরুর খুইজ্জা(কড়) পুড়িয়ে দিয়ে ঘরে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা,পরঘরবাড়ি ও ঘেরা ভাংচুর করে হত্যার হুমকি দিয়েছেন। এনিয়ে মহেশখালী থানায় একাধিক অভিযোগ করলে স্থানীয় গনমান্য ব্যক্তিবর্গের সহিত বিষয়টি বিচার-সালিশ করে সমাধানের চেষ্টা করা হলে স্থানীয় ইউপি মেম্বার ওসমান গণি,সাবেক মেম্বার রশিদ আহমদ সহ একটি রায় দিলে তা মেনে না নিয়ে গত ২৬ নভেম্বর আবারও আব্দুল মান্নান, ইসমাইল, আবু তাহের,বেলাল হোসাইন এসে আমার ঘরে তালা ঝুলিয়ে আমাকে হত্যা করার উদ্দেশ্য গালিগালাজ সহ হুমকি প্রদান করেন।আমি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।  


সূত্রে জানা যায়, মৌলানা মঞ্জুরের ফুফু রশিদা বেগম,আমেনা বেগম,মিনুয়ারা থেকে পৃথক দলিল বায়না মূলে ২৮ খড়া জায়গা খরিদ করেন। উক্ত জায়গায় বর্তমানে মৌলনা মঞ্জুর ১৬ খড়া জায়গা দখলে থাকলেও তার সৎ ভাই,চাচা ও পিতা মিলে ফুফুর অংশ নেই বলে মৌলানা মঞ্জুরের দখলে থাকা জায়গা দখল করে বসত ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেন।


এবিষয়ে স্থানীয়রা জানান,দীর্ঘদিন ধরে মাস্টার মঞ্জুর ও তার চাচা, পিতা-সৎ ভাইদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। স্থানীয়রা বিচার-সালিশ দিলে তার পিতা ও সৎ ভাইয়েরা মানে না। উক্ত ঘটনা নিয়ে যেকোনো মুহূর্তে তাদের মধ্যেই বড় ধরনের ঘটনা ঘটেতে পারে। তাই বিষয়টি সুরহা করা প্রয়োজন।

উক্ত বিষয়ে মাস্টার মৌলভী মঞ্জুরের পিতা মনির আহমদ থেকে জানতে চাইলে তিনি কোন কিছু মন্তব্য না করে চলে যান।


স্থানীয় ইউপি মেম্বার ওসমান গনী বলেন, তাদের পিতা-পূত্রের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। আমরা কয়েকজন স্থানীয় ভাবে বিষয়টি মিমাংসা করার জন্য একটি সিদ্ধান্ত দিয়েছি। বিষয়টি না মানলে তারা আইনের আশ্রয় নিতে পারে।

এবিষয়ে মহেশখালী থানার ওসি প্রনব চৌধুরী বলেন, এবিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।