এদিকে প্রধানমন্ত্রীর এই সফরকে ঘিরে জেলাবাসীর বিভিন্ন দাবী জোরালো হচ্ছে। ডিসেম্বরের এ দলীয় জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী মহেশখালীবাসী সেতু বা টানেল উন্নয়নে নতুন কিছু ঘোষণা অপেক্ষায় রয়েছে জেলাবাসী।
জানাগেছে- সাগরের বুকে জেগে থাকা ৩৮৮.৫০ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর সাথে পযটন নগরী কক্সবাজারের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম নৌপথ। নানা কারনে এই নৌপথটি পযটক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। প্রায়শই ঘটছে ছোট-বড় দূর্ঘটনা। এমন অবস্থায় কক্সবাজার-মহেশখালী সংযোগ সেতু নির্মানের দাবী জোরালো হচ্ছে।
স্থানীয়রা বলছেন- কক্সবাজার-মহেশখালী সংযোগ সেতু নির্মান হলে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে পুরো কক্সবাজারের পযটন খাতে। পাল্টে যাবে দুই পারের মানুষের জীবনচিত্র। পযটকরাও নিরাপদে মহেশখালী ভ্রমন করতে পারবে। নিরাপদ যাত্রী পারাপার নিশ্চিত করতে সম্ভাব্য তিনটি জায়গায় সেতু নির্মাণ হতে পারে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে নানা আলোচনা।
মহেশখালীর স্থায়ি বাসিন্দা সাংবাদিক মাহবুব রোকন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন,এমপি আশেক ভাই এর নেতৃত্বে এই দ্বীপাঞ্চলে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে- এ ধারায় আমরা আর একটি সেতু বা টানেল চাই। মহেশখালী থেকে কক্সবাজার অব্দি আমরা গাড়ি চালিয়ে যেতে চাই।
মহেশখালী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মাতারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক সিকদার ফেসবুকে স্ট্যাটাসে লিখেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, দেশরত্ন শেখ হাসিনার সমাবেশে মহেশখালী বাসীর প্রধান দাবি হউক "সেতু চাই - দিতে হবে"।
বিভিন্ন সময় মহেশখালী-কক্সবাজার সেতু নির্মানের জোরালো দাবিতে ঢাকা- কক্সবাজার ও মহেশখালীতে মানববন্ধন করেছে বেশ কয়েকটি সামাজিক ও ছাত্র সংগঠন। প্রধানমন্ত্রীর এবারের সফরকে ঘিরে পুরো শহর সাজানো হচ্ছে নানা আঙ্গিকে। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে টাঙানো ব্যানার-ফেস্টুন ও বিলবোর্ড-পোস্টারে ছেয়ে যাচ্ছে শহরের বিভিন্ন সড়ক, উপসড়ক। ভাঙাচোরা সড়কের সংস্কার, ময়লা–আবর্জনা পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন, সড়কে লাইটিং ও সৌন্দর্য বর্ধনের কাজও চলছে সমানতালে। প্রধান সড়কের অসম্পূর্ণ কাজও দ্রুত শেষ করার চেষ্টা চলছে।
প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে শহরের কলাতলীর হাঙর ভাস্কর্য মোড় পর্যন্ত পাঁচ-ছয় কিলোমিটার সড়কে তোরণ নির্মাণের ধুম পড়েছে। ইতিমধ্যে অর্ধশতাধিক তোরণ তৈরি হয়েছে। শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ভেতরে জনসভায় বিশাল মঞ্চ তৈরির কাজও চলছে। জনসভা সফল করতে মাঠে নেমেছেন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। প্রধানমন্ত্রীর সফর নিরাপদ করতে মাঠে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
মাতারবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জিএম ছমি উদ্দীন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিগত ১৪ বছরে কক্সবাজারকে দুহাত ভরে দিয়েছেন। মহেশখালীতে কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প, গভীর সমুদ্র বন্দরসহ এক গুচ্ছ প্রকল্প কক্সবাজার এখন চকচক করে। আরও উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রয়েছে। সব প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়ে গেলে অপূর্ণতা কিছু থাকবে না।
তিনি আরও বলেন, জনসভায় কক্সবাজারবাসীর প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান জানিয়ে মহেশখালীবাসীর প্রাণের দাবী সেতু বা টার্নেল ঘোষণা করবেন বঙ্গবন্ধুর তনয়া প্রধানমন্ত্রী এমন প্রত্যাশা দ্বীপবাসীর।
এ বিষয়ে আশেক উল্লাহ রফিক এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার গনমানুষের দাবীর প্রতি সব সময় শ্রদ্ধাশীল। মানুষের কল্যাণেই কাজ করছে আওয়ামী লীগ সরকার। মহেশখালী-কক্সবাজার সেতু নির্মাণের বিষয়টি ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় অবহিত হয়েছে। সেতু নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাই খুব দ্রুত শুরু হবে। আওয়ামী লীগ সরকার কাজে বিশ্বাসী।