এ ঘটনায় মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রনব চৌধুরীর নেতৃত্বে মহেশখালী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে মোহাম্মদ সোলেইমান (২৭) নামের এক যুবককে আটক করে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন।
শনিবার (৩ ডিসেম্বর) বিকাল আনুমানিক ২টার সময় পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া নদীর পাশঘেষে করিয়ার দিঘীর প্রজেক্ট থেকে ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করে। মরদেহ উদ্ধারের বিষয়ে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওমর হায়দার জানিয়েছেন, করিয়ার দিঘী জাহিদ চৌধুরীর চিংড়ি ঘেরে ভাসমান অবস্থায় একটি লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে।
নিহত শিশুর নাম মাহিয়া (৬)। সে মাতারবাড়ি ইউনিয়নের সাইরার ডেইল গ্রামের আয়াত উল্লাহর কন্যা এবং দক্ষিণ সাইরার ডেইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৩০ নভেম্বর দুপুর ১২ টায় স্কুল থেকে ফিরে নিখোঁজ হয় মাহিয়া। পরে তাকে খুঁজে না পেয়ে মাহিয়ার পিতা মহেশখালী থানায় জিডি দায়ের করে। জিডির সূত্র ধরেই কাজ শুরু করে মহেশখালী থানা পুলিশ।
নিহতের পিতা আয়াত উল্লাহ জানান, মেয়ে নিখোঁজের পর ১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় অজ্ঞাত নাম্বার থেকে ফোন করে ৫লাখ টাকা মুক্তিপন দাবী করে। তখন বিষয়টি পুলিশকে অবগত করে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা করেন। পরে সকালে পার্শ্ববর্তী এলাকা পেকুয়ায় মরদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়ের মরদেহটি সনাক্ত করেন।
মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রনব চৌধুরী জানান, মুক্তিপন দাবী করা ওই নাম্বারের সুত্র ধরে প্রযুক্তির সাহায্যে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত মোহাম্মদ সোলেমান নামের এক যুবককে আটক করা হয়। বর্তমানে তাকে নিয়ে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।