আ ন ম হাসান।। মহেশখালী কালারমার ছড়া সোনারপাড়া এসপিএম প্রকল্পে ২০টি পরিবারের ঘরবাড়ি সরিয়ে নিতে সম্মত হয়েছে বসবাসরত স্থানীয়রা।
বুধবার সকাল ১১ টায় কক্সবাজারের এডিসি আমিন আল পারভেজসহ কয়েকজন কর্মকর্তা উচ্ছেদ এলাকায় গিয়ে সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। এসময় তাঁরা স্থানীয়দের স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তির যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিবে বলে আশ্বস্ত করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল আলম ও সেতারা বেগম জানিয়েছেন- জেলা প্রশাসনের এডিসি আমিন আল পারভেজের কথায় আমরা আমাদের জায়গা ছেড়ে দিতে সম্মত হয়েছি। তাঁরা আমাদের আগামীকালের মধ্যেই ক্ষতিপূরণের চেক ইস্যূ করে দিবে বলে কথা দিয়েছেন। তাই আমরা ঘরবাড়ি সরানোর কাজ করছি। তবে তাঁরা যদি আমাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা না রাখে তাহলে আমরা জায়গা ছেড়ে দিবো না।
এ বিষয়ে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আমিন আল পারভেজ জানিয়েছেন- এ জায়গাটি এসপিএম প্রকল্পের অধিগ্রহণকৃত জায়গা। এখানে অনেকে ক্ষতিপূরণ পেয়েছে আবার অনেকেই ক্ষতিপূরণ পাওয়ার প্রক্রিয়াধীনে রয়েছে। আমরা তাদেরকে বুঝিয়েছি- যেন সরকারের জনগুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের কাজ ব্যহত না হয়। তাঁরা আমার অনুরোধে সাড়া দিয়ে নিজেদের ঘরবাড়ি সরিয়ে নিচ্ছে এবং একইসাথে আমরাও তাঁদের যে ক্ষতিপূরণের বিষয় রয়েছে সেটিও আইনানুগভাবে নিষ্পত্তি করবো।
উল্লেখ্য মঙ্গলবার মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ ইয়াছিন ক্ষতিপূরণের আশ্বাস এবং কোন কিছু না জানিয়ে স্থানীয়দের উচ্ছেদের চেষ্টা করলে তাঁদের বাঁধার মুখে ফিরে যায় ইউএনও পরিচালনাধীন আভিযানিক দল। অভিযানে পুলিশ সদস্যও নিয়ে যাওয়া হয়নি। শুধু কয়েকজন আনসার সদস্য নিয়েই এই অভিযানের চেষ্টা চালানো হয়। পরে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের এডিসি ওই এলাকায় যান এবং তাঁর কথায় স্থানীয়রা আশ্বস্ত হয় এবং যাথাযথ ক্ষতিপূরণ দিলে তাঁরা জায়গা ছেড়ে দেওয়ার সম্মতি জানিয়ে ঘরবাড়ি সরানোর কাজ শুরু করেন।