একই অপরাধীরা মিলে মদ ও বন্দুকের দুইটি কারখানা পরিচালনা করছে
সুব্রত আপন।। মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের পানিরছড়া বারইখইল্লা ঘোনা (ভারিতইল্ল্যা) নামের পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি দেশিয় বন্দুক তৈরীর কারখানা থেকে বিপুল পরিমান বন্দুক তৈরীর যন্ত্রাংশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পাশের আরও একটি মদের কারখানা থেকে উদ্ধার করা হয় তরল মদ। মহেশখালী থানার ওসি প্রণব চৌধুরীর নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। পুলিশের অভিযান টের পেয়ে কারখানা ফেলে পালিয়ে যায় কারিগররা। পুলিশ কারখানা দুইটি গুড়িয়ে দিয়েছে। স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে- এলাকার কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি ও একাধিক মামলার আসামিরা মিলে এ সব কারখানা পরিচালনা করছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে দুইটি মামলা করেছে।
উদ্ধার হওয়া যন্ত্রপাতির মধ্যে রয়েছে- লেদ মেশিন, দেশীয় তৈরীর অস্ত্রের স্প্রিং, কার্তুজের প্লট, অস্ত্র তৈরীর লোহার পাইপ, লোহা কাটার বিভিন্ন যন্ত্র, অস্ত্রের কাঠের বাট, বিভিন্ন ধরনের কার্তুজ, কার্তুদের খোসা। তাছাড়া উদ্ধার করা হয় তরল মদও।
মহেশখালী থানা পুলিশের অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) প্রণব কুমার চৌধুরী জানান- মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) বিকাল ৪টায় মহেশখালী থানা পুলিশের একটি বিশেষ দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পানিরছড়া এলাকার বারইখইল্লা ঘোনা জায়গাটি অস্ত্র ও মাদকের সন্ধানে অভিযানে নামেন। জায়গাটি পাহাড়ের এত গহীনে যে- পুলিশের উপস্থিতি আগে থেকে টের পেয়ে কারখানার সাথে জড়িত কারিগররা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। অস্ত্রের কারখানায় পৌঁছানোর পর দেখা যায়- সেখানে বিপুল সংখ্যক অস্ত্র তৈরীর বিভিন্ন যন্ত্রাংশ এবং উপাদান আছে। পুলিশ এ সকল যন্ত্রপতি জব্দ করে কারখানাটি গুড়িয়ে দেয়।
ওসি জানান- অপরদিকে এ অভিযানকালে এই কারখানার একটু অদুরেই একটি দেশীয় মদ তৈরির কারখানার সন্ধান পায় পুলিশ। পরে জানা গেছে- এই মদের কারখানাও ওইসব অস্ত্র তৈরির কারিগরদে৷ দ্বারা পরিচালিত হয়। এখন থেকে পুলিশ- পূর্বে প্রস্তুত করা ৮০ লিটার চোলাই মদ জব্দ করে।
পুলিশের এ কর্মকর্তা জানান- আশপাশে পানের বরজে কর্মরত লোকজন তথ্য দেন- এ দুই কারখানার সাথে স্থানীয় রবিউল হোসেন ওরফে রবি, মনির ও মানিক মানিক নামের ৩ব্যক্তি জড়িত। বহুদিন ধরে এখানে বন্দুক এবং চোলাই মদ তৈরি ও বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করে আসছিলো।
এ অভিযানের পর পুলিশ বাদি হয়ে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে অস্ত্র এবং মাদক আইনে আলাদা মামলা করেছে- থানায়।