জানা গেছে- গত ৯ ডিসেম্বর ঢাকার সংসদ ভবন প্লাজার এলইডি মিলনায়তনে তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। অনুষ্ঠানে বর ও কনের নিকট আত্মীয় ছাড়াও দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। ওই দিন সন্ধ্যা থেকে শুরু হয় বিয়ের আয়োজন। এ বিয়ে অনুষ্ঠানে দেশের ভিভিআইপিসহ কক্সবাজারের বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
পরে ১২ ডিসেম্বর ঢাকার একই মিলনায়তনে বিয়ে পরবর্তী বর-বধূর সংবর্ধনা অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। তাতেও দেশের বিশিষ্ট নাগরিকগণ অংশগ্রহণ করেন।
সেবার নানা কারণে আলোচিত এ বিয়ে অনুষ্ঠানের অতিথির তালিকায় ছিলেন জাতীয় সাংসদের স্পিকার শিরিন শারমিন, আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুর করিম সেলিম, বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্য শেখ হেলাল এমপি, আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলির সদস্য আমির হোসেন আমু, প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, মোয়াজ্জেম চৌধুরী মায়া, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, পররাষ্ট্র মন্ত্রী আব্দুল মোমেন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, এলজিইডি মন্ত্রী তাজ উদ্দিন, নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালেদ মাহমুদ, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহেদ হাসান, আওয়ামী লীগের যুগ্ম- সা. সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, যুবলীগের চেয়ারম্যান ফজলে শামস পরশ, পুলিশের ডিবি প্রধান হারুনুর রশিদসহ অনেকই।
তাছাড়া আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা মহেশখালীর সন্তান এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, কক্সবাজারের সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী, মহেশখালী -কুতুবদিয়া আসনের এমপি আশেক উল্লাহ রফিক, কউক চেয়ারম্যান কমোডর (অব.) নুরুল আবছার, মহেশখালীর উপজেলা চেয়ারম্যান শরিফ বাদশা, মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক তারেক বিন ওসমান শরীফসহ রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এ অনুষ্ঠানে দেশের একশোর অধিক এমপি, আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ-সহযোগি সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি-সা. সম্পাদকসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ, প্রশাসনের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তাসহ বিভিন্নজন উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে ঢাকায় এসব আনুষ্ঠানিকতার পর গতকাল মহেশখালীর বরের বাড়িতে বিয়ে উত্তর বধূবরণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ নূরে আলম চৌধুরী লিটন এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন এমপি. বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শবনম জাহান এমপি. বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্য এবং চীফ হুইপ পরিবারের নিকট আত্মীয়- স্বজনসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেত্রীবৃন্দ, চট্রগ্রাম থেকে আসা চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতৃবৃন্দ, কক্সবাজার-২ আসনের এমপি আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক, কক্সবাজার-৩ আসনের এমপি জাফর আলম, কক্সবাজার-১ আসনের এমপি সাইমুম সরোয়ার কমল, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহীনুল হক মার্শাল, জেলা যুব লীগের সভাপতি সোহেল আহমেদ বাহাদুর, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল হক সোহেল, কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দৈনিক কক্সবাজারের সম্পাদক মুজিবুল ইসলাম, প্রথম আলোর কক্সবাজার অফিস প্রধান আব্দুল কুদ্দুস রানা, চ্যানেল আই এর স্টাফ রিপোর্টার সরওয়ার আজম মানিকসহ জেলা আওয়ামী লীগ নেত্রীবৃন্দ। তাছাড়া মহেশাখলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আনোয়ার পাশা চৌধুরী, সাধারন সম্পাদক তারেক বিন ওসমান শরীফ চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শরীফ বাদশা, হোয়ানক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাস্টার মীর কাশেম, শাপলাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এড. আব্দুল খালেক, ছোট মহেশখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়ান সিকদার, কুতুবজুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ কামাল, সাবেক চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন খোকনসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকগণ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণ, সমস্ত ইউপি মেম্বারগনসহ মহেশখালী পৌরসভা থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগের মহেশখালী ও কক্সবাজারের তৃণমূলের নেতা-কর্মী, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সাধারণ জনগন, সনাতন ধর্মালম্বী ও রাখাইন সম্প্রদায়ের ব্যক্তিবর্গসহ হাজার হাজার মানুষ।
জানা গেছে- পাত্রী ফারাহ আনিকা চৌধুরী হলেন বঙ্গবন্ধুর ভাগনে ইলিয়াস চৌধুরী দাদাভাইয়ের নাতনি। গত সেপ্টেম্বর মাসে এক জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে তাদের বাগদান সম্পন্ন হয়।
ডক্টর আনচরুল করিমের পুত্র আইমান করিম লন্ডনের একটি নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চার্টার্ড একাউন্টেন্সি বিষয়ে তার লেখা পড়া শেষ করে সম্প্রতি দেশে ফিরেন।
ডক্টর আনচারুল করিমের ভাইপো যুবলীগ নেতা ও আয়োজনের সঞ্চালক মিফতাহুল করিম বাবু জানান- আয়োজনে মহেশখালীর বিপুল মানুষ অংশগ্রহণ করেন। তিনি এ আয়োজন সফল করার জন্য বৃহত্তর গোরকঘাটাবাসীসহ সকলের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
প্রসঙ্গত: রাজনৈতিক কারণে মহেশখালী-কুতুবদিয়ায় এই বিয়ের প্রসঙ্গটি বেশ আলোচনার সৃষ্টি করেছে। - তথ্য বরের পারিবারিক সূত্রের।
