Advertisement


জাতীয় পার্টির নেতা মুহিবুল্লাহ’র মৃত্যুতে সাংবাদিক আবুল বশর পারভেজের শোক


বার্তা পরিবেশক।। জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নেতা ও মহেশখালীর বরেণ্য ব্যক্তিত্ব মরহুম অ্যাডভোকেট মওদুদ আহমদ ও আমিনা মওদুদ এর প্রথম পুত্র বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আলহাজ্ব মুহিব্বুল্লাহ (৬৫) মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন মহেশখালী উপজেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি ও মহেশখালী প্রেস ক্লাবের সভাপতি আবুল বশর পারভেজ।

বিবৃতিতে আবুল বশর পারভেজ মরহুম আলহাজ্ব মুহিব্বুল্লাহ’র আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। তিনি দেশবাসীর কাছে আলহাজ্ব মুহিব্বুল্লাহ আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া চেয়েছেন।

গত ২১ ফেব্রুয়ারী হঠাৎ ব্রেইন স্ট্রোক করে কক্সবাজার ইউনিয়ন হসপিটালে আইসিউতে চিকিৎসারত ছিলেন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ইয়ার এম্বুল্যান্স করে ঢাকার নিউরো সায়েন্স হসপিটালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৩ ফেব্রুয়ারী রাত সাড়ে ৩ টায় ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নাইলাহি রাজিওন)। তার মৃত্যুর খবর শুনে হাসপাতালে ভিড় করেন পরিবারের সদস্য ও দলীয় নেতাকর্মীরা। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৬৫ বছর। স্ত্রী, পুত্র, কন্যা’সহ অসংখ্য আত্বীয় স্বজন গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে মহেশখালীবাসী এক প্রাজ্ঞ অভিভাবককে হারাল। তাকে ঘিরে কয়েক দশক ধরে জাতীয় পার্টির রাজনীতি পরিচালিত হয়ে আসছে মহেশখালীতে। তার নেতৃত্বে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ ছিলাম।

আজ (বৃহস্পতিবার) বাদে আছর কক্সবাজার ঈদগাহ ময়দানে প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। আগামীকাল শুক্রবার সকাল ১০ টায় তার গ্রামের বাড়ির নতুন বাজার মাঠে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরাস্থানে দাফন করা হবে।

প্রসঙ্গতঃ বড় মহেশখালী ইউনিয়নের মিয়াজির পাড়ার ছলিয়র বর মরহুম এডভোকট মওদুদ আহাম্মদ ও আমিনা মওদুদ এর প্রথম পুত্র মোঃ মোহিবুল্লার সাথে আামার ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক পরিচয় ১৯৯৫ সাল থেকে। তাহার প্রয়োজনে নয়, আমার প্রয়োজনে যখনি ফোন করতাম অপর প্রান্ত থেকে বলে উঠত অ পারভেজ কেন আছ ভাই, আজ থেকে সেই কন্ঠের আওয়াজ আজ শুনত পাব না। আমার ব্যক্তিগত জীবনে কোন বিপদ আপদে ফোন করলে রক্তের সম্পর্কের চেয়ে বেশি শক্তি, সাহস, অনুপ্রেরনা দিয়ে যেতেন তিনি ছিলেন মোঃ মোহিবুল্লাহ। বিগত সময়ে মহামারী করোনা ভাইরাসের আক্রমনে জনজীবন বিপর্যস্ত, কেথাও কাউকে সাথে পাওয়ার চরম মুহূর্ত, টিক তখনি আমার ছোট বোন রহিমার প্রথম ডেলিভারিতে অপারেশন করতে ককসবাজার সদর হাসপাতালে ডাক্তার পাওয়া অনিশ্চিত। গভীর রাতে মোহিবুল্লাহ,র ফোনে ৫/৬ জন ডাক্তার উপস্থিতি করে ৩০ মিনিট সময়ে অপারেশন সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়। সর্বশেষ তিনি আমাদের, গত ৩০ জানুয়ারী সোমবার মহেশখালী প্রেসক্লাব এর পারিবারিক মিলন মেলায়। অনুষ্ঠানের মাঝ সময়ে একটি লাল রং এর ব্লাজার পরে উপস্থিত হয়। তার উপস্থিত এ সমাবেশকে সর্বদলীয় মিলন মেলায় রূপ দেয়। তাঁহার ইন্তেকালে মহেশখালী বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ’সহ সর্বমহল গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।