জানা গেছে- বেশ আগেই এই ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, পরে এ ভবন থেকে আদালতের কার্যক্রম সরিয়ে মহেশখালীতে অবস্থিত জেলা পরিষদের ডাকবাংলোতে আদলতের কার্যক্রম স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে ওই বাংলোর নিচ তলায় চলছে আদালতের কার্যক্রম।
এদিকে পুরাতন আদালত ভবনটি পরিত্যক্ত হলেও ভবনটি ভেঙে ফেলা হয়নি। ওই ভবনে বিচ্ছিন্ন ভাবে বিভিন্ন সময় কিছু বাস্তুহীন লোক রাতযাপন করে আসছিলেন। বর্তমানে ওই ভবন ও ভবনের আশপাশে বিচরণ করেন মানসিক বিকারগ্রস্ত এক নারী।
ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছেন- ওই নারী বিভিন্ন স্থান থেকে কাগজ কুড়িয়ে এনে এই পরিত্যক্ত আদালত ভবনের কক্ষগুলোতে স্তুপ করে রাখেন। এক পর্যায়ে আজ বেলা দুইটার দিকে কক্ষের ভেতরে জমা করা এ সব কাগজে আগুন ধরিয়ে দেন ওই নারী।
দুপুরে পথচারীরা ভবনের ভেতর থেকে আগুন ও ধোয়া বের হতে দেখে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন। পরে দমকল বাহিনীর কর্মীরা এসে পানি ছিটিয়ে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। আগুনে মানসিক বিকারগ্রস্ত ওই নারীও সামান্য আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স মহেশখালী স্টেশনের কর্মকর্তা পুলক সরকার জানিয়েছেন- তারা আগুনের খবর পাওয়ার পর দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন। পরিত্যক্ত এ ভবনটি দ্রুত ভেঙ্গে সরিয়ে নেওয়ার প্রতি গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন- বেশ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় এ ভবনটি এখানে এভাবে রেখে দেওয়া হলে এটি ভেঙ্গে পড়ে যে কোনো মুহূর্তে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। এমুহূর্তে এখানে মানুষের প্রবেশ বন্ধ করা খুবই জরুরি। তিনি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ সংশ্লিষ্টদের অবগত করেছেন বলেও জানান।