স্থানীয়দের অভিযোগ- বিপুল টাকার উৎকোচ নিয়ে মহেশখালী রেঞ্জের কালারমার ছড়া বিটের কর্মচারী রাসেলসহ কয়েকজন কর্মকর্তা মিলে পাহাড় কেটে দালান ঘর তৈরিতে সহযোগিতা করছে। তারা আরও জানান- পাহাড়ের টিলা ও পাহাড় কাটার সময় কয়েক-দফা রাসেল মিয়া এসে প্রথমে বাঁধা দিয়ে পরে বিট কর্মকর্তা ও রেঞ্জ কর্মকর্তার নামে মোটা অংকের টাকা নিয়ে কয়েকমাস ধরে পাহাড় কেটে সরকারি জায়গায় বহুতল বাড়ি নির্মাণ কাজে সহযোগিতা করে আসছে।
সরেজমিনে জানা যায়, কালারমার ছড়ার পূর্ব চিকনীপাড়ার বেশ কয়েকমাস আগে সরকারি বন বিভাগের পাহাড় কেটে বহুতল স্থাপনা নির্মাণের জন্য চাদ ঢালাই করে নতুন করে ইট দিয়ে দেওয়াল তৈরি করে আসছে মৃত আবদুল খালেকর পূত্র নাছির উদ্দীন।
এ বিষয়ে নাছির উদ্দীনের পূত্র আব্দু শুক্কুর বলেন- "প্রায় বছর খানেক আগে যখন ঘর করার কাজ শুরু করলে ফরেস্ট অফিসে রাসেল এসে বাঁধা দেন। পরে তিনিসহ বেশ কয়েকজন অফিসের স্টাফ এসে দেখে গেছেন এবং তাদের সহযোগিতায় ঘর করতেছি। তারা যদি শুরু থেকে ঘর করতে না দিলে ত আমরা করতাম না। এখন ঘর করার মধ্যেখানে হয়রানি করলে আমরা পথে বসবো।"
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত রাসেল মিয়া উক্ত নির্মাণাধীন ঘরে তিনি গিয়েছিলেন বলে স্বীকার করে বলেন- ওদিকে পাহাড় কাটার খবর পেয়ে পরিদর্শনে গেয়েছি। ঘর করতে অনুমতি দিইনানি। আমি ছোট কর্মচারী হয়ে কিভাবে ঘর করার অনুমতি দিতে পারি? বলে উল্টো প্রশ্ন করেন প্রতিবেদককে। পরে কে দিয়েছে অনুমতি জানতে চাইলে তিনি বিট কর্মকর্তার সাথে কথা বলার পরামর্শ দিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যান।
স্থানীয় বাসিন্দা আবুল, নেছার, সাহাব উদ্দিনসহ অনেকেই জানান- কালারমার ছড়া বন বিটের কর্মচারী রাসেল মিয়ার হয়রানিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে স্থানীয়রা। পানের বরজ, গাছ কাটা ও ঘর করতে তাকে চাঁদা না দিলে বিভিন্ন মামলার হুমকি দেওয়া হয়। পরে নিরুপায় হয়ে চাঁদা দিতে হয়। চাঁদা দিলেই সবকিছু করতে পারা যায়।
এ বিষয়ে কালারমারছড়া বিট কর্মকর্তা আবুল কালাম জানান- কখন কিভাবে এই ঘর নির্মাণ হচ্ছে সে বিষয়ে আমি অবগত ছিলাম না৷ আমাদের কোন কর্মচারী আমাকে তা অবগত করেনি। বিষয়টির খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।