Advertisement


সড়ক নিয়ে মাতারবাড়ির মানুষের দুঃখের জীবন!


ওয়াহেদ আমির,
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক [মহেশখালী(উত্তর)]

কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ একটি ইউনিয়ন মাতারবাড়ি। সরকার যে কয়টি কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগ নিয়েছে  তার বড় একটি বাস্তবায়ন হতে চলেছে এই ইউনিয়নটিতে। কুহেলিয়া নদী আর বঙ্গোপসাগরের পানিতে ঘিরে থাকা এই দ্বীপ ইউনিয়নটিতে প্রায় ৭০হাজার মানুষের বসবাস। স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে অন্যান্য অঞ্চলগুলোর চেয়ে উন্নয়নে পিছিয়ে থাকার প্রমাণ মিলে বর্তমানে এই দ্বীপের সংযোগ সড়কের অবস্থা দেখলে। -এমন দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।

জানা গেছে- চালিয়াতলি থেকে মাতারবাড়ি প্রায় চার কিলোমিটার এই সড়কের  দারাখাল থেকে মাতারবাড়ি মুখি চারটি কালভার্টের বিকল্প রাস্তা আছে যেগুলোকে সাধারণ মানুষ মরণযন্ত্রণা বলেও আখ্যা দেয়। প্রকল্প কেন্দ্রিক আসা গাড়িগুলো দুর্ভোগের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় বহুগুণ। ভারি যানবাহন যাতায়াতে প্রায় সময় দূর্ঘটনার সম্মুখীন হয় এই সড়কে, যার কারণে ব্যাহত হয় সাধারণ চলাচল, লেগে যায় দীর্ঘ জ্যাম। এই যেন ভোগান্তির সর্বোচ্চ পর্যায়। সড়কের এই অবস্থার কারণে প্রতিদিন ঘটছে ছোট-বড় নানা দূর্ঘটনা। গত বছর ডিসেম্বরেও টমটম খাদে পড়ে সোহাগ মণি(২৬) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে এই সড়কে।

সিএনজি চালক মাতারবাড়ির মগডেইলের বাসিন্দা রাসেল জানান- "প্রতিদিন মাতারবাড়ির বাইরে ভাড়া নিয়ে যাই। রাস্তার যে অবস্থা- দুই একদিন পর পর গাড়ি ঠিক করা লাগে। রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে অনেক আগে কিন্তু তা কখন শেষ হবে তা জানা নেই।"

মাতারবাড়ির বাসিন্দা হোবাইবুল ইসলাম জানান-" সারা বাংলাদেশ ঘুরে আসলেও এতোটা খারাপ লাগে না, এই দুই কিলোমিটার পথ যতটা কষ্ট দেয়। খুব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মাতারবাড়ির বাইরে যাওয়ার ইচ্ছে হয়না এই সড়কের কারণে। বর্ষায়তো একেবারেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যায়।"

স্থানীয়দের অভিযোগ- গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে এই সড়ক সংষ্কারের কাজ শুরু হলেও তা অনেক ধীর গতি। ছয়টি কালভার্ট এবং রাস্তার পাশে পাইলিংয়ের কাজ ছাড়া দৃশ্যমান কোন কাজ দেখা যাচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে জানতে মাতারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু হায়দারের সাথে কথা বললে তিনি জানান- "মাতারবাড়ির মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে আমরা সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলেছি।আমাদের দাবি ছিলো অন্তত এপ্রিলের মধ্যে যেনো চলাচলের সুবিধা হয় এমন দৃশ্যমান কোন ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। তবে এমপি মহোদয়, নির্বাহী প্রকৌশলী এবং সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার আশ্বস্ত করেছেন মে মাসের মধ্যেই চলাচলের উপযোগী একটা ব্যবস্থা করে দিবেন।"