Advertisement


কালারমার ছড়ার এসপিএম প্রকল্পে পরিক্ষামূলক তেল খালাসের কাযক্রম শুরু হয়েছে


রকিয়ত উল্লাহ।। মহেশখালীর কালারমার ছড়ায় এসপিএম প্রকল্পে সৌদি আরব থেকে আসা অপরিশোধিত তেলবাহী ট্যাংকার ‘হরে’ থেকে জ্বালানি তেল খালাসের মাধ্যমে মহেশখালীতে পরিক্ষামূলক ভাবে সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিংয় (এসপিএম) এর কমিশনিং শুরু হয়েছে।


২৫ জুন রবিবার বিকালে ট্যাংকার ‘হরে’ দিয়েই মহেশখালীর মুরিং পয়েন্ট থেকে পরীক্ষামূলকভাবে তেল খালাসের জন্য কার্যক্রম শুরু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন এসপিএম প্রকল্পের পরিচালক শরীফ হাসনাত।  

সূত্রে জানা যায় -দেশে প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে মহেশখালীর কালারমার ছড়ার এসপিএম চালুর জন্য প্রায় ৮২ হাজার টন অপরিশোধিত তেল নিয়ে অয়েল ট্যাংকার ‘হরে’ গত ১১ জুন সৌদি আরবের ‘রাস তানুরে’ বন্দর ছেড়ে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে এসে পৌঁছায় পানামার পতাকাবাহী এই ট্যাংকার। আজ সকালে মহেশখালীর সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিংয়ের (এসপিএম) ইউনিটে কমিশনিং এর জন্য তেল খালাসের কাজ শুরু করা হয়।  

এ বিষয়ে স্থানীয় কালারমার ছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান শরীফ জানান- কালারমারছড়া এসপিএম প্রকল্পে পরীক্ষামূলক তেল খালাসের জন্য সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিংয়ের (এসপিএম) কমিশনিং এর জন্য জাহাজ এসেছে। তা খুবই ভালো সংবাদ। এটি সম্পূর্ণ রূপে চালু হলে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।


এসপিএম প্রকল্পের পরিচালক শরীফ হাসনাত জানান- রবিবার চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙর থেকে অয়েল ট্যাংকারটি মহেশখালীর মুরিং পয়েন্টে আনা হয়। বিকালে ট্যাংকারের অপরিশোধিত তেল মুরিং পয়েন্টে দেওয়ার মাধ্যমে পাইপলাইনে পরীক্ষামূলক সরবরাহ শুরু হয়। এরপর আমরা মুরিং, পাইপলাইন, স্টোরেজ ট্যাংকের সবকিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখবো।


উল্লেখ্য- মহেশখালীর কালারমার ছড়া ইউনিয়নের উপকূল থেকে ছয় কিলোমিটার পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরে সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং(এসপিএম) স্থাপন করা হয়েছে। এসপিএম থেকে ৩৬ ইঞ্চি ব্যসের দুটি আলাদা পাইপলাইনের মাধ্যমে ক্রুড অয়েল ও ডিজেল আনলোডিং এর ব্যবস্থা রয়েছে। ১৬ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে সেই পাইপলাইন প্রথমে নিয়ে আসা হবে কালারমার ছড়ায় সিএসটিএফ বা পাম্প স্টেশন অ্যান্ড ট্যাঙ্ক ফার্মে। সেখান থেকে বিভিন্ন পাম্পের মাধ্যমে ৭৪ কিলোমিটার পাইপলাইনের মাধ্যমে তেল চলে যাবে চট্টগ্রামের আনোয়ারার সমুদ্র উপকূলে। সেখান থেকে আবার ৩৬ কিলোমিটার পাইপলাইন পাড়ি দিয়ে তেল নিয়ে যাওয়া হবে পতেঙ্গায় ইআরএলের রিফাইনারিতে।

উক্ত প্রকল্প সফল কমিশনিংয়ের পর দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা বাড়ানোর লক্ষ্যে বড় এই প্রকল্প চালু হলে আমদানি করা তেলবাহী ট্যাংকার থেকে জ্বালানি খালাসে আধুনিক প্রযুক্তির যুগে প্রবেশ করবে বাংলাদেশ। গভীর সাগরে নোঙর করা একটি ১ লাখ মেট্রিক টন তেলবাহী ট্যাংকার থেকে তেল খালাসে সময় লাগবে মাত্র ২-৩ দিন। দেশে জ্বালানি তেল মজুদের সক্ষমতা বাড়বে ১০ থেকে ১৫ দিন। কমবে তেল চুরি, পরিবহন নৈরাজ্য এবং পানি দূষণের হারও।