Advertisement


মহেশখালীতে আওয়ামী লীগের সম্মেলনের ৭মাসেও হয়নি পুর্ণাঙ্গ কমিটি

গুরুত্বপূর্ণ পদে স্থান পেতে পারেন-বিদ্রোহী ও বহিস্কৃত নেতারা


রকিয়ত উল্লাহ।।
গত বছরের ১৬ নভেম্বর বড় মহেশখালী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হয়। সে সময় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনে উপস্থিতিতে সিলেকশনের মাধ্যমে ৮ সদস্য বিশিষ্ট উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়। প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার পাশা চৌধুরীকে সভাপতি ও কালারমার ছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান শরীফকে সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করা হয়। 

সম্মেলনের পর দীর্ঘ ৭ মাস অতিবাহিত হলেও এখনো উপজেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা দিতে পারেনি মহেশখালী  উপজেলা আওয়ামী লীগ।

সূত্রে জানা যায়- তৃনমূল ও প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতাদের বাদ দিয়ে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের অনুসারী ও বিভিন্ন নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া এবং বহিস্কৃত নেতারা মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে স্থান পাচ্ছে বলে চাউর হচ্ছে। ইতোমধ্যে নৌকার বিদ্রোহী ও বহিস্কৃত নেতারা উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে পদ ভাগিয়ে নিতে সভাপতি-সম্পাদকের কাছে ধর্ণা দিচ্ছেন এবং দলীয় বিভিন্ন প্রোগ্রামে তাদেরকে সামনের সারিতে দেখা যাচ্ছে। এতে হতাশ হয়ে পড়েছেন তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন তৃণমূল আওয়ামী লীগ নেতারা জানান- যারা দলের আদেশ অমান্য করে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের বাহিরে গিয়ে দলের দুঃসময়ে বেঈমানী করে বিভিন্ন নির্বাচনে নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী ও দলীয় প্রার্থীর বিরোধিতা করেছে। তারাই এখন উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের আস্থাভাজন। তাদের অনেকেই কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদে স্থান পাচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। তাদেরকে স্থান দিলে বিগত সময়ে যারা দলের অনুগত তারা মুখ ফিরিয়ে নিবে।

সূত্রে জানা যায়- ইউপি নির্বাচনে দলীয় নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বিদ্রোহী হয়ে নির্বাচন করে বহিস্কৃত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী সাবেক সহ সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান এনামুল হক রহুল, মাতারবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান মাঃ মোহাম্মদ উল্লাহ, মাস্টার রুহুল আমিন, মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক অর্থ সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন খোকন, শাপলাপুর ইউনিয়ন পরিষদে নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী সালাউদ্দিন কমল, হোয়ানক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মীর কাসেম, ছোট মহেশখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়ান সিকদার, তার ভাই জহির সিকদার, জাহেদ সিকদারসহ অনেকেই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও  দলীর প্রার্থীর বিরোধিতা করে বহিস্কৃত হয়েছেন।

সদ‍্য সমাপ্ত কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাহবুবুর রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় ছিলেন কুতুবজোম ইউনিয়নের এম আব্দুল মান্নন। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীকে বহিরাগত বইঙ্গা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলীয় মনোনয়নের ভুল করেছেন বলে দাবি করেছেন। তিনি এখন দলের পদ পাচ্ছেন বলে জানা যাচ্ছে।

এ বিষয়ে  মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার পাশা চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান- যারা তৃনমূলে ছিল তারাতো থাকবেই পাশাপাশি যারা বিভিন্ন ইউপি নির্বাচনে বহিস্কৃত হয়েছেন তাদের ব্যাপারে দলের হাইকমান্ড ও জেলা আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ করা হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড.ফরিদুল ইসলাম জানান- উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি দলীয় সিদ্ধান্ত ও সাংগঠনিক ভাবে করা হবে বলে জানান।