সূত্রে জানা যায়- কুতুবজোমের পূর্ব পাড়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি সময়ে বেশ কয়েকটি মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্য দেশীয় অস্ত্রের মহড়া দিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছে। অথচ দেশীয় অস্ত্রের মহড়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলেও এসব অস্ত্র এখনো উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। ফলে সন্ত্রাসীরা আরও বেপরোয়া হয়ে সন্ধ্যা থেকে গভীর রাতে ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে। এতে এলাকা জুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করে আসছে।
অনুসন্ধানে কুতুবজোমের পূর্ব পাড়ায় সম্প্রতি সময়ে বেড়েছে ইয়াবাও মাদক বিক্রি। বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী, মাদককারবারী ও বহু মামলার পালাতক আসামিরা এসব নিয়ন্ত্রণ করে বলে জানা যায়। সন্ত্রাসীরা আফালাতুন বর বাড়ির পাশে, বজুরোক বর বাড়ির পাশে এবং দক্ষিণের মেয়রেরে ঘোনার পাশে তারা বিভিন্ন দলে অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে আশ্রয় নেন। তাদের দল ভারি করার জন্য গভীর রাতে ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে তাদের শক্তি জানান দেয়। বিশেষ করে স্থানীয় সন্ত্রাসী নুর হোসেন প্রকাশ নুইরগা চোরা, ফোরকান, বদি আলম, আব্দু গফুর,ছাদেক মিয়া, বদ, আলমগীর, ছৈয়দ নুর, রহিম বাদশাসহ একাধিক ব্যক্তির কারণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। তাদের বিরুদ্ধে মহেশখালী থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।
স্থানীয় জামাল, মনির, আতিকসহ কয়েকজন বলেন- পূর্ব পাড়ায় চিহ্নিত কয়েকজন সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারিরা প্রতিনিয়ত সন্ধ্যা হলেই অস্ত্রের মহড়া দিয়ে থাকে এবং মাদকসেবন করে সাধারণ মানুষকে গালিগালাজসহ হুমকি ও চাঁদাবাজি করে। রাতে ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে থাকে। তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারে না । তাদের কারণে এলাকাবাসীরা আতংকে রয়েছে বলে জানান।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নবী হোসেন জানান- কয়েকজন চিহ্নিত সন্ত্রাসীও মাদক কারবারীর জন্য এলাকা জুড়ে আতঙ্ক রয়েছে। সাধারণ মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নজরদারির দাবি জানান।
কুতুবজোম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট শেখ কামাল বলেন- সম্প্রীতি কুতুবজোমের পূর্ব পাড়ায় বেশ কয়েকটি মারামারির ঘটনা ঘটেছে এবং দেশীয় অস্ত্রের মহড়া দিয়েছিল। তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র মাদাকসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তাদেরকে আইনের আওতায় আনলে একালায় শান্তি বিরাজ করবে।
মহেশখালী থানার ওসি(তদন্ত) তাজ উদ্দিন জানান- কুতুবজোমে বেশ কয়েকটি ঘটনার একাধিক মামলা রয়েছে। বেশ কয়েকবার অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদেরকেও আইনের আওতায় আনার অভিযান চলমান রয়েছে।