Advertisement


গোরকঘাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের জমি দখলের পাঁয়তারার প্রতিবাদে মানববন্ধন


সংবাদদাতা।। মহেশখালী পৌরসভার গোরকঘাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের কেনা জমির তথ্য গোপন করে মিথ্যা প্রচারণা ও অবৈধ দখলের পাঁয়তারা চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে প্রতিবাদ জানাতে বিদ্যালয়টির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেছেন।

অভিযোগে জানা গেছে- তালিকাভুক্ত যুদ্ধাপরাধী রাজাকার জিনাত আলীর আপন ভাই ও রাজাকার মৌলভী ওসমান গনির ভগ্নিপতি জামায়াত নেতা মৌলভী নেজামের মেয়ের শ্লীলতাহানী ও জমি দখলের মিথ্যা অভিযোগ তুলেন ওই পক্ষটি। এ সব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের সভাপতি দাতাসদস্য মহেশখালী পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব মকছুদ মিয়াসহ স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্যগণ প্রধান শিক্ষকসহ শিক্ষক-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মিথ্যাসংবাদ পরিবেশন করে ষড়যন্ত্র করে আসছিলো। এ সব করে বিদ্যালয়ের জমি দখলের পাঁয়তারা ও বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদে রবিবার মহেশখালীতে স্কুলটির ছাত্র-শিক্ষক সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানববন্ধন শেষে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে স্মারকলিপি দেয়া হয়।

বেলা ১১ টায় গোরকঘাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের উদ্যোগে মহেশখালী উপজেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়। এতে স্কুল শিক্ষক, অভিভাবক সদস্যসহ শত শত শিক্ষার্থী এ মানববন্ধনে অংশ নেন।

সহকারি শিক্ষক জিয়া উদ্দিনের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৃষ্টিরাম দে, সহকারী প্রধান শিক্ষক আবদুর রহিম, সহকারী জাহাঙ্গীর আলম, আলো দে, জরিতা রানী দে, আবুল কাসেম মনি, রিনা আক্তার, জান্নাতুল মাওয়া, সিরাজুল মোস্তাফা, জিয়া উদ্দীন, মঈন উদ্দীন, মাহাবুব আলম, রাজমিন আক্তার, মাওলানন আবদুল গফুর ও সারজিয়া জাহান সাথী। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন- অভিভাবক সদস্য নুরুল ইসলাম, মো. সাইফুল্লাহ, জেনারুল করিম ও দীলিপ কুমার সুশীল।

বক্তারা বলেন- আমরা গোরকঘাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক ও কর্মচারী। বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি আবু বকর ছিদ্দিকের নেতৃত্বে পরিচালনা কমিটি গঠনপূর্বক জমি কেনার পর ১৯৯৬ সালে স্কুলের ভিত্তি স্থাপন করা হয়। বিদ্যালয়টি তখন হতে অনানুষ্ঠানিকভাবে ২০১৩ সালে সরকার কর্তৃক নিম্ন মাধ্যমিক পাঠদান অনুমতি, পরবর্তীতে বিদ্যালয়ের শিক্ষা-কার্যক্রম উন্নত হওয়ায় অডিট কমিটি দ্বারা সকলতথ্য যাচাই-বাছাইক্রমে নিম্নমাধ্যমিক স্বীকৃতি এবং বর্তমানে এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত ৮৪৬জন শিক্ষার্থীর মাঝে পাঠদান কার্যক্রম সুনামের সাথে চলমান আছে।

বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর ১৯৯৭ সালে গোরকঘাটা এলাকার মরহুম নুর আহমদের পুত্র মৌলভী নেজাম উদ্দীন হেলালীর স্ত্রী আইনুন নাহার হতে ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পমূলে ১০শতক জমি প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি আবু বকর ছিদ্দিক গোরকঘাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের পক্ষে কিনে দখল গ্রহণ করেন। বিক্রি করা জমি বিএস খতিয়ান করে রেজিষ্ট্রি সম্পন্নের আগেই আইনুন নাহার মৃত্যুবরণ করেন।

পরে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির দাতাসদস্য ও পৌরসভার মেয়র আলহাজ মকছুদ মিয়ার শত্রুপক্ষের ইন্ধনে মৌলভী নেজাম বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ও মেয়রের সম্মান ও সুনামহানী করার উদ্দেশ্যে এ জমি জোরপূর্বক দখলের পাঁয়তারা করছে মর্মে উল্লেখ করে গত ২৪ জুলাই বিভিন্ন জায়গায় সংবাদ সম্মেলন করে। এতে তারা গোরকঘাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের কেনা জমির তথ্য গোপন করে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের বিভ্রান্ত করে মিথ্যা খবর প্রকাশ করে মেয়র, পরিচালনা কমিটি ও বিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা চালায়। দাতাসদস্য আলহাজ্ব মকছুদ মিয়া মৌলভী নেজামের মেয়ের শ্লীলতাহানী ও জমি দখলের হাস্যকর অভিযোগ তুলেও সংবাদ প্রকাশ করে। এ অবস্থায় উচ্চবিদ্যালয়ের ৮ শতাধিক ছাত্রছাত্রীর শিক্ষাজীবন অব্যাহত রাখা এবং মেয়র সম্মান অটুট রাখার স্বার্থে মৌলভী নেজাম এর যাবতীয় অপতৎপরতা বন্ধে আশু পদক্ষেপ জরুরী বলে উল্লেখ করেন তারা।

তাছাড়া সার্বিক বিষয় যাচাইপূর্বক বিদ্যালয় ও শিক্ষার্থীদের স্বার্থে শিক্ষাঙ্গনকে নিরাপদ করতে দ্রুত মৌলভী নিজাম হেলালীসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি দাবি জানিয়েছেন তারা।