কালারমার ছাড়া ইউনিয়নের এই গ্রামটির মানুষ কয়েক বছর ধরে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসলেও এখন বহিরাগত সন্ত্রাসীরা অবস্থান নেওয়ায় প্রতিনিয়ত হচ্ছে অস্ত্রের মহড়া। বেড়েছে চুরি-ছিনতাই, মদ,জুয়া ও ইয়াবার আসর। বিগত সময়ও এসব সন্ত্রাসীরা এই এলাকায় অবস্থান করে পুরো কালার মার ছড়ায় ত্রাসের সৃষ্টি করেছিল। কালারমার ছাড়া বাজার,নোনাছড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় যারা দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি দখলবাজি ও অস্ত্রবাজি করে আসছে। ফলে পুনরায় সন্ত্রাসীদের আস্তানায় পরিণত হয়েছে আঁধারঘোনা গ্রাম। এসব সন্ত্রাসীদের দেখেই আঁধার কোন সাধারণ মানুষ আঁতকে উঠছেন।
কালারমার ছড়া ইউনিয়ন পরিষদের একজন সাবেক মেম্বার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন- এই বহিরাগত সন্ত্রাসীদের কারণে এলাকার শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে। এসব বহিরাগত সন্ত্রাসীদের কারণে রাস্তা দিয়ে মহিলারাও চলাফেরা করতে পারছেন না। আমরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই- এসব বহিরাগত সন্ত্রাসী অস্ত্রবাজদের অবিলম্বে আইনের আওতায় আনা না হলে সন্ত্রাস বন্ধ হবে না। এসব সন্ত্রাসীরা এই এলাকায় অবস্থান করে ভিন্ন এলাকায় গিয়ে হামলা করে। বিভিন্ন নিরীহ লোকজনকে সন্ত্রাসী কার্যক্রমে তাদের সাথে এসব অপকর্মে জড়িয়ে পড়তে উৎসাহ দেয়। এতে একটি ষড়যন্ত্রকারী ও প্রভাবশালী মহল জড়িত রয়েছে। যারা নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য এসব সন্ত্রাসদের ব্যবহার করে।
পূর্ব আঁধারঘোনার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন- বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা সব সন্ত্রাসীদের এই গ্রামে কারা আশ্রয় দিচ্ছে তা খুঁজে বের করা দরকার। এরা আশ্রয় না দিলে এখানে সন্ত্রাসীরা আস্তানা গড়ে তুলতে পারত না। এই সন্ত্রাসীদের কারণে গ্রামের ৭ হাজার মানুষ জিম্মি হয়ে পড়েছে। প্রশাসনের কাছে আমরা অনুরোধ জানাতে চাই আপনারা অবিলম্বে এর সব সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে তাদের কাছে অস্ত্র উদ্ধার করা হোক।