ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ , কোহেলিয়া নদী রক্ষা কমিটি ও পরিবেশ প্রাণ-প্রকৃতি সুরক্ষা পরিষদের আয়োজনে র্যালি ও মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন আলহাজ্ব মাওলানা সাহাব উদ্দিন ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন , জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের ফলে সৃষ্ট গ্রিনহাউস গ্যাসগুলাে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য দায়ী। বিজ্ঞানীদের মতে, কার্বন নিঃসরণ অব্যাহত থাকলে ভূমণ্ডলের তাপমাত্রা ক্রমাগত বৃদ্ধি পেতে থাকবে, যার ফলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন বাড়বে, তেমনি এক সময় পৃথিবী বসবাসের অযােগ্য স্থানে পরিণত হবে । জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারে পরিবেশ দূষণ খুব বেশি ঘটে। পরিসংখ্যান থেকে দেখা গেছে, কয়লা থেকে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে তড়িৎ আহরণে কর্মীদের মৃত্যুর হার পারমাণবিক রিএ্যাক্টরে কর্মীর মৃত্যুর হারের সমান। গাড়ি, বিমান, জাহাজ ও ট্রেন চালাতে যে জালানি ব্যবহৃত হয় তা প্রধানত জীবাশ্ম জ্বালানি। মােটরগাড়ি ও কলকারখানা থেকে নির্গত ধোঁয়া পরিবেশ দূষণ করে। এছাড়া বাতাসে CO2-এর পরিমাণ আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যায় যা ঐ অঞ্চলের জীববৈচিত্র্যের ওপরও প্রভাব ফেলে। বক্তারা আরো বলেন , কয়লা একটি মারাত্মক পরিবেশ দূষিত বস্তু তাই মহেশখালীতে কয়লা ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করলে পরিবেশ বিপর্যয় হবে দ্বীপের । বাংলাদেশের একমাত্র পাহাড় বেষ্টিত দ্বীপ মহেশখালী বাঁচাতে হলে কয়লা ব্যবহার বন্ধ করা জরুরি বলে মনে তারা ।
"Global Day of Action to End Fossil Fuels for Climate Justice" উপলক্ষ্যে র্যালি ও মানববন্ধনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাপা মহেশখালীর সভাপতি মোছাদ্দেক ফারুকী , উত্তর নলবিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আনছারুল করিম , বাপা'র সদস্য ও উপজেলা মৎস্য প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম , বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) মহেশখালী আঞ্চলিক শাখার সাধারণ ও ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ এর ভলান্টিয়ার আবু বক্কর ছিদ্দিকের সঞ্চালনায় র্যালি ও মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ এর পেকুয়া প্রতিনিধি দেলোয়ার হোছাইন, ওয়াটার কিপার্স বাংলাদেশ ভলান্টিয়ার আলাউদ্দিন আলো, সাংবাদিক রকিয়ত উল্লাহ, সাংবাদিক আল জাবের , ডাঃ নাছির উদ্দিন, এনামুল করিম, ইমরান নাজির , কোহেলিয়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি নুরুল কাদের, সাধারণ সম্পাদক মো: ইউনুস, আমির হোছাইন, আবুল বশর, কামাল হোসেন এবং বিভিন্ন পরিবেশ ও সমাজ সেবা সংস্থার শীর্ষ নেতৃত্ববৃন্দ।