জানা গেছে- বৃহস্পতিবার রাত থেকে কক্সবাজারের অন্যান্য এলাকার মতো মহেশখালীতেও মুষলধারে বৃষ্টিপাত শুরু হয়। টানা এই বৃষ্টি চলে শুক্রবার দিনের বেশিরভাগ সময পর্যন্ত।
বৃষ্টিতে মহেশখালীর জনজীবন স্তব্দ হয়ে পড়ে। সৃষ্টি হয় বিদ্যুৎ বিভ্রাট। ক্ষতিগ্রস্ত হয় মহেশখালীর দুইটি প্রধান সড়কসহ বিভিন্ন এলাকা। বিশেষ করে হোয়ানক, শাপলাপুর, কালারমার ছড়া ও ছোট মহেশখালীতে ক্ষতির পরিমান বেশি বলে জানা যাচ্ছে। এ সময় এলাকায় পাহাড়ি ঢলের কারণে বিভিন্ন জনবসতিপূর্ণ এলাকা তলীয় যায়, সৃষ্টি হয় দীর্ঘ জলবদ্ধতা। অনেক স্থানে পাহাড় ধস ও ঢলের সৃষ্টি হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় পানের বরজ। শাপলাপুরে ঢলের কারণে বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয় সড়কের বিভিন্ন অংশ। তাছাড়া হোয়ানকে একাধিক কাচা বাড়ি পানিতে তলীয়ে গিয়ে ভেঙে পড়েছে।
এদিকে বড় মহেশখালীতে বৃষ্টির সময় বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি এক শিশু। পরে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত শিশুর পারিবারিক সূত্রে জানিয়েছেন- বড় মহেশখালীর পশ্চিম ফকিরাঘোনার চাঁদমিয়া পাড়া এলাকায় সকাল ১০ দিকে মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ নামের ৮ বছর বয়সি এক শিশু বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। পরে সন্ধ্যায় ছড়াঘোনা নামক এলাকায় পানির গর্ত থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বৃষ্টির সময় ঢলে ভেসে গিয়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে পারিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন। শিশু আব্দুল্লাহ ওই এলাকার রহমত উল্লাহর পুত্র।
এদিকে খবর পেয়ে এলাকার সংসদ-সদস্য আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক হোয়ানকসহ বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত দের মাঝে আর্থিক সহয়তাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।