Advertisement


মহেশখালীতে টিভিতে খেলা দেখার সময় পানি পান করা নিয়ে বিরোধ, গুলিতে জেলে খুন



রকিয়ত উল্লাহ।। মহেশখালী উপজেলার বড় মহেশখালী ইনিয়নের মগরিয়া কাটা এলাকায় গ্রামের দোকানের টেলিভিশনে খেলা দেখার সময় পানি পান করা নিয়ে তর্কাতর্কির জের ধরে মোহাম্মদ সোহেল নামের ২২ বছর বয়সী এক যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। সোহেল মাছ ধরার ট্রলারে জেলে হিসেবে কাজ করতেন। এ ঘটনায় আরও ৪ জন মারাত্মত ভাবে আহত হয়েছে। ১৬ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) সকাল ৯টায় বড় মহেশখালীর মগরিয়া কাটা আমতলী এলাকায় এঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করতে অভিযান চালাচ্ছে।

জানা গেছে- নিহত যুবক মোহাম্মদ সোহেল বড় মহেশখালীন মগরিয়া কাটার গ্রামের ওসমান গণির পূত্র। এ ঘটনায় আহতেরা হলেন মো. লোকমান, নুরুল হক, মতিউর রহমান ও এমরান। স্থানীয়রা হতাহতদের উদ্ধার করে মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন, এখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সোহেলকে মৃত ঘোষণা করেন। বর্তমানে আহতদের ওখানে  চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন মহেশখালী থানার ওসি সুকান্ত চক্রবর্তী।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়- বুধবার (১৫নভেম্বর) সন্ধ্যায় ক্রিকেট বিশ্বকাপ চলাকালীন গ্রামের একটি চায়ের দোকানে বসানো টেলিভিশনে খেলা দেখছিলো গ্রামের লোকজন। এ সময় পানি পান করাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় এহাসানের সাথে সোহেল গং এর মধ্য কথা কাটাকাটি ও ঝগড়া হয়। এর রেষ ধরে পরদিন ১৬ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) সকালে আবারও উভয় পক্ষের মধ্যে সংর্ঘর্ষ হয়৷ এ সময় সোহেল এর লোকজন এহছানকে মারধর করে।

পরে এহাসানের নেতৃত্বে তার আত্মীয়-স্বজন জড়ো হয়ে এসে সোহেলের আত্মীয়-স্বজনের উপর হামলা চালায়। এ সময় এহছান ছাড়াও আবুল হোসেন, মাছন, মান্নান, মোবারকের নেতৃত্বে আরও কয়েকজন লোক এসে সোহেলকে গুলি করে হত্যা করে এবং আরও ৪জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে।

নিহতের পরিবারের দাবি- এহাসানের নেতৃত্বে কয়েকজন সন্ত্রাসী এসে তাদের উপর অতর্কিত হামলা করে। এক পর্যায়ে খুবই কাছ থেকে এহাসান গুলি করে সোহলকে হত্যা করে।

এ বিষয়ে মহেশখালী থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) সুকান্ত চক্রবর্তী জানান- পানি খাওয়াকে কেন্দ্র করে সোহেল নামে এক যুবককে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে পুলিশ। তবে এঘটনায় এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।  তবে জড়িতদের গ্রেফতার  করতে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে বলে জানান ওসি।

এদিকে ঘটনার পর নিহত সোহেল এর আত্মীয়-স্বজন এহছানের বাড়িতে হামলা চালিয়ে লুটপাট ও ভাঙচুর করছে বলে জানা গেছে। তারা বাড়ির জিনিসপত্র, স্বর্ণ ও টাকা লুট করে নিয়ে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

পুলিশ হাসপাতাল থেকে নিহতের মরদেহ গ্রহণ করে চুরতহাল রিপোর্ট তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।