জানা গেছে- গত ৩১ জানুয়ারি মহেশখালী হোয়ানকে একদল সন্ত্রাসীগুষ্টি নিয়ে অনেকটা ফিল্মি স্টাইলে বানিয়াকাটা এলাকার এক বৃদ্ধার জমি জবরদখলে নিতে যান তিনি। মহেশখালী থানায় দায়ের করা একটি অভিযোগ সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়- খরিদা স্বত্বে মৃত মুহাম্মদ আলীর হোয়ানক আমাবস্যাখালী মৌজার ৫১নং বিএস খতিয়ানের ১২২৬ ও ১২৩৩ নং দাগের ১দশমিক ২৬ একর জমি কৃষি জমি রয়েছে।
দীর্ঘ সময় বিভিন্ন চাষাদের বর্গা দিয়ে ভোগদখল করে আসছিলেন মৃত মুহাম্মদ আলীর স্ত্রী শিরিন আখতার। সম্প্রতি লবণের ভরা মৌসুমে চাষারা ওই জমি বর্গা নিয়ে চাষাবাদ শুরু করলে খোরসাপাড়ার দখলদার আব্দুল মাবুদ ও তাঁর ভাইসহ কয়েকজন মিলে নানা টালবাহানার মাধ্যমে অসহায় শিরিন আখতারকে নানাভাবে হুমকিসহ হয়রানি করে আসছে। গত ৩১ জানুয়ারি দুপুর আড়াইটার দিকে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আব্দুল মাবুদের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী লবণ মাঠে হামলা চালিয়ে প্রায় ৩ লাখ টাকার মাঠে বিছানো পলিথিন নষ্ট করে ফেলে।
অভিযোগকারী অসহায় বৃদ্ধা শিরিন আখতার জানান- আব্দুল মাবুদ গংদের সাথে স্থানীয় ও প্রশাসনিকভাবে আমাদের একাধিকবার বৈঠক হয়েছে। কিন্তু কোথাও বা কারও বিচার মানতে রাজি নন তাঁরা। তাদের কথা হলো- বিচার মেনে কিন্তু তালগাছ তাদের হতে হবে। অনেকটা মগেরমুলুক স্টাইলের চাওয়া। আমি তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে আর পারছি না। সব কাগজপত্র ঠিক থাকার পরও এ সমাজে সুষ্ঠুভাবে চারটে ডালভাতও কি খেতে পারবা না আমরা? দ্রুত এর সমাধান চাই আমি।
মহেশখালী থানায় দায়ের করা অভিযোগে হোয়ানক খোরসাপাড়ার দখলদার আব্দুল মাবুদ ছাড়াও তাঁর ভাই শাহাদাত হোসেন, আজিজুল হক, মো: ঈসমাইল, মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন ও হাবিবুর রহমান ও রাহামত উল্লাহসহ বেশ কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন মহেশখালী থানার অফিসার ইন-চার্জ সুকান্ত চক্রবর্তী।