Advertisement


মহেশখালীতে খেলার মাঠ ও বহুবর্ষি দীঘির অস্তিত্ব মুছে দিয়ে আশ্রয়ন প্রকল্প, ক্ষুব্দ এলাকাবাসী


বার্তা পরিবেশক।। মহেশখালী উপজেলার কালারমার ছড়া নোনাছড়িতে উপজেলা প্রশাসন কতৃক কোস্টাল কমিনিউটি সেন্টারে অবস্থিত শতবর্ষী খেলার মাঠ ও দিঘী ভরাট করে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণে ফুঁসে ওঠে বিশাল মানববন্ধন ও প্রতিবাদ করেন কালারমারছড়া ও নোনাছড়ি এলাকার সর্বস্তরের মানুষ।

গত ১৬ই মার্চ বিকাল ৩টায় নোনাছড়ি বাজারে কালারমার ছড়ার সর্বস্তরের মানুষের ব্যানারে এই মানববন্ধনের আয়োজন করেন এলাকাবাসী। এই মানবন্ধনকে সমর্থন জানিয়ে বৃদ্ধ, যুবক ও কিশোরসহ শতশত মানুষ যোগ দেন।

আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তব্য দিতে গিয়ে শতবর্ষী খেলার মাঠের শৈশবকে স্মৃতিচারণ করে আবেগাপ্লুত হয়ে নোনাছড়ি এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দু সাত্তার বলেন- এই কোস্টাল কমিউনিটি সেন্টার মাঠে আমি খেলাধূলা করেছি। অনেকে চেষ্টা করেছিল এই মাঠ ধ্বংস করে পানের বরজ করতে কিন্তু আমরা তা করতে দিইনি। সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রকল্পের কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের ঘর দেবে এতে আমাদের দুঃখ নেই। কিন্তু শতবর্ষী খেলার মাঠ দখল করে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর হোক তা আমরা চাইনা৷  ক্ষতিগ্রস্তদের ১২ নম্বর খাস খতিয়ানে পুনর্বাসন করার অনুরোধ করছি সংশ্লিষ্টদের।

মানববন্ধনে উপস্থিত অন্য বক্তরা বলেন- এটি প্রায় ২০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী একটি খেলার মাঠ ও দিঘী। এখানে এলাকার সবাই খেলাধুলা করে। এই মাঠ যদি ধ্বংস করে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ করা হয় তাহলে এলাকার কিশোররা খেলাধুলা করতে না পেরে মাদকের দিকে ধাবিত হবে। আমরা চাই না কালারমারছড়ায় আবার অস্ত্রের ঝনঝনানী শুরু হোক।

তাঁরা আরও বলেন- যেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রত্যেক উপজেলায় খেলার মাঠ তৈরি করার জন্য পরিকল্পনা করছেন, সেখানে কিছু কুচক্রী মহল এই মাঠটি ধ্বংস করতে উঠে পড়ে লেগেছে। আমরা কালারমারছড়া ইউপি চেয়ারম্যান , মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা ডিসি ও স্থানীয় এমপি আশেক উল্লাহ রফিকের কাছে বিনীত অনুরোধ করছি। এই মাঠটি ধ্বংস করে কেউ যাতে কিছু করতে না পারে। এতে আমাদের যুব সমাজ মারাত্মক ক্ষতি হবে।

এদিকে ২০২১ সালে এ মাঠে একটি টেকনিক্যাল স্কুল করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিলো মহেশখালীর তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহফুজুর রহমান, এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন নিয়ে নানা সময় কথাও বলেছেন স্থানীয় সংসদ আশেক উল্লাহ রফিক এমপি। কিন্তু এ মহান উদ্যোগ বাস্তবায়নের আগেই দখল হতে বসেছে মাঠটি। এ ছাড়াও ওই শতবর্ষী মাঠ ও দীঘি থেকে মিষ্টি পানের হাটবাজার ও দীঘি ইজারা হতে প্রতিবছর সরকারের রাজস্ব কোষাগারে প্রায় ১৫ লাখ টাকার মতো রাজস্ব যায়।   বিশাল এ মাঠ দীঘি দখল হলে স্থানীয়দের একমাত্র খেলার মাঠটি বিলুপ্তের পাশাপাশি রাজস্ব বঞ্চিত হবে সরকার বলছেন স্থানীয়রা।