চট্টগ্রামস্থ টেকনাফ সমিতির উদ্যোগে সমিতির সভাপতি মুখতার আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. কামাল, বিশিষ্ট চিকিৎসা বিজ্ঞানী প্রফেসর ডা. ইমরান বিন ইউনুস, বিএমএ চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি প্রফেসর ডা. মুজিবুল হক খান, প্রফেসর ডা. খুরশিদ জামিল চৌধুরী, প্রফেসর ডা. একেএম রেজাউল করিম, সিরাজুল মনোয়ার, কক্সবাজার সমিতি চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর মইন উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক, মহেশখালী উপজেলার নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী ও এডভোকেট রফিকুল আলম।
খলিলুর রহমানের পরিচলনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জনাব রফিক উল্লাহ।
বক্তারা বলেন, মরহুম ডা. জামাল আহমদ একজন আলোকিত মানুষ। শিক্ষা ও চিকিৎসা সেবায় তাঁর অবদান জাতি স্মরণ করবে।
বক্তারা আরো বলেন, দীর্ঘ সরকারি চাকরির পাশাপাশি তিনি ব্যক্তি উদ্যোগে চিকিৎসা সেবা, শিক্ষাবৃত্তি ও বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান উপযোগী কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রদানের লক্ষ্যে নিজের পিতা-মাতার নামে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন দাতব্য সংস্থা "হ্নীলা গুলফরাজ-হাশেম ফাউন্ডেশন "।
তারা বলেন, ডা. জামাল আহমদের মৃত্যুতে কক্সবাজারবাসী একজন প্রকৃত অভিভাবক হারিয়েছে। দেশ হারিয়েছে একজন মানবিক ও নিবেদিতপ্রাণ চিকিৎসক। তাঁর এই শূন্যস্থান কখনো পূরণ হবার নয়। তিনি টেকনাফ সমিতিসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের প্রাণপুরুষ হিসেবে কাজ করে গেছেন।
উল্লেখ্য, হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. জামাল আহমদ ১৯৫৬ সালের ১৮ নভেম্বর টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, নাজিরহাট কলেজ থেকে এইচএসসি এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ছিলেন টেকনাফ উপজেলার প্রথম এমবিবিএস ডাক্তার। চিকিৎসা পেশার মাধ্যমে মানব সেবাকে তিনি জীবনের ব্রত হিসেবে নিয়েছিলেন। চট্টগ্রামে হৃদরোগের চিকিৎসাকে সহজলভ্য করতে তিনি কার্যকরী ভূমিকা পালন করেছেন। ২০০৩ সালে তিনি আরও কয়েকজনকে সাথে নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন টেকনাফ সমিতি চট্টগ্রাম। চট্টগ্রামের বেসরকারি চিকিৎসাকেন্দ্র সিএসসিআর প্রতিষ্ঠায়ও তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন এবং দীর্ঘদিন তিনি উক্ত প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন। গত ১৫ এপ্রিল ২০২৪ চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন ইস্পাহানী পাবলিক স্কুল ও কলেজের হেড মওলানা আতাউল্লাহ বাহারী এবং শেষে মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় মুনাজাত পরিচালনা করেন মওলানা এসএম সাইফুল্লাহ। শোক সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।