এঘটনায় জের ধরে গত ৪ মে বিকাল আনুমানিক ৫টায় বড় মহেশখালীর বড়ডেইল ফকিরাকাটার সামশুল আলমের বাড়ির সামনে ভিকটিম ওসমানকে একা পেলে আমান গ্রুপের ২০-৩০ জন লোক তাকে তুলে নেন এবং একপর্যায়ে এলাকায় আতংক সৃষ্টি করে গুলিবর্ষণ করেন। এতে গুলিবৃদ্ধ হয়ে আহত হন ওসমান। ৬মে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওসমানের মৃত্যু হয়। নিহত ওসমান একজন বর্গা লবণচাষী ছিলেন।
এদিকে এঘটনায় ১২ মে নিহত ওসমানের পিতা আবুল হোসেন আমান গ্রুফের আমান উল্লাহ কে প্রধান আসামি করে ২৮ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায় - গত ২১ এপ্রিল আমান গ্রুফের লোকজন লবণ মাঠে লবণ ডাকাতি করতে বাঁধা দেন নিহত ওসমান। এঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিত ভাবে আমান গ্রুফের লোকজন ৪ মে বড় ডেইল এলাকার ফকিরাকাটার শামসুলের বাড়ির সামনে পেলে আমান উল্লাহ গুলি করে হত্যা করার নির্দেশ দিলে বেশ কয়েকজন আসামি ফাঁকাগুলি বর্ষণ করে এবং ওসমানের হাতপা চেপে ধরেন। পরে মামলার ২নং আসামি এহেছান করিম ভিকটিম ওসমানের তলপেটে বন্দুক রেখে গুলি করেন এবং প্রধান আসামি শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করেন।
নিহত ওসমানের পিতা আবুল হোসেন বলেন - আমার ছেলেকে সন্ত্রাসী আমান উল্লাহর নির্দেশে মৃত্যু নিশ্চিত করতে এহছান করিম
তলপেটে বন্দুক দিয়ে গুলি করে। এঘটনায় মহেশখালী থানায় একটি হত্যা মামলা রেকর্ড করেছে। এখনো কোন আসামি গ্রেফতার হয়নি। প্রশাসনের কাছে আসামিদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
মহেশখালী থানার ওসি সুকান্ত চক্রবর্তী জানান- এঘটনায় ২৮ নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা রেকর্ড হয়েছে। এখনো কোন আসামি গ্রেফতার হয়নি তবে আসামিদের ধরতে পুলিশ বিভিন্নভাবে কাজ করছে অতিশীঘ্রই আসামিদের আইনের আওতায় আনা হবে।