রকিয়ত উল্লাহ।। বিগত সময় মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পকে নির্ভর করে মাতারবাড়ি ও আশপাশের অনেকেই আঙ্গুল ফোলে কলাগাছ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। বর্তমানে সরকার পরিবর্তনের পর আলাদিনের চেরাগ পাওয়ার মতো এমন অনেকের তথ্য প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। এমনই একজন মাতারবাড়ির মগডেইল এলাকার বাসিন্দা আশেক মাহমুদ। তবে মি. মাহমুদ বলছেন- এ সব অভিযোগ ভিত্তিহীন।
তথ্য রয়েছে- মাতারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আ'লীগ নেতা মাস্টার মোহাম্মদ উল্লাহর ছায়ায় এই লোক মাত্র ৭ বছরে বিদ্যুৎ প্রকল্পে শ্রমিক নিয়োগ বাণিজ্য, কাজ পাইয়ে দেওয়ার টেন্ডার বাণিজ্যসহ বিভিন্ন রহস্যজনক পন্থা অবলম্বন করে কোটিপতি বনে গেছেন। এ অল্প সময়ে এই লোক ও তার সিন্ডিকেটের উত্থান বেশ রহস্যজনক বলে দাবি করছেন স্থানীয়রাও।
জানা গেছে- মাতারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাস্টার মোহাম্মদ উল্লাহর আপন ভাগিনা আশিক মাহমুদ। মূলতঃ কিছুদিন আগেও প্রকল্পে ছিলো মি. উল্লাহর একক আধিপত্য। এই চেয়ারম্যান তার প্রধান কর্মকার হিসেবে ভাগিনা আশেককে কাজে লাগিয়ে নামে-বেনামে কোম্পানি খুলে প্রকল্পে শ্রমিক নিয়োগ বাণিজ্য, অধিগ্রহণে ঘুষ, টেন্ডার ও কমিশন বাণিজ্যের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে।
সূত্র জানায়- ২০১৬ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মাস্টার মোহাম্মদ উল্লাহ মাতারবাড়ি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে কপাল খুলে যায় চেয়ারম্যানসহ তার ভাগিনা আশেকের। সার্বিক বিষয়টি লোকচক্ষুর আড়াল করতেই এই আশিককে দিয়ে নামে- বেনামে কোম্পানি খুলে প্রকল্পের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে কমিশন বাণিজ্যের মাধ্যমে বিপুল টাকা হাতিয়ে নেয় চক্রটি।
এ চক্রটির এমন কর্মকাণ্ডের বিষয়ে এবার মুখ খুলতে শুরু করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিন্ন তথ্য দিয়ে মাতারবাড়ির সাবেক ইউপি সদস্য ফিরোজ, এস্তেফাজুর রহমান, শাহাজাহান জানান- আওয়ামী যুবলীগের নাম ব্যবহার করে আশিক মাহমুদসহ আরও বেশ কয়েকজন নেতা অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে নিরাপদে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। প্রকল্পের শুরুতে তাদেরকে কি ছিলো? আর এখন কি পরিমাণ টাকা লুটপাট করেছে তা খতিয়ে দেখলেই সকল প্রশ্নের জবাব মিলবে বলে মনে করেন তারা। সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ উল্লাহও একই উপায়ে অল্প সময়ে বড় লোক বনে যায় বলে সূত্রের তথ্য।
এ বিষয়ে জানতে আশিক মাহমুদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার মামা চেয়ারম্যান থাকার সুবাধে প্রকল্পে ব্যবসা-বাণিজ্য করার সুযোগ পেলেও কোন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে টাকা পয়সা আয় করেনি বলে জানান। তাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অসত্য বলেও দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে মাতারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাস্টার মোহাম্মদ উল্লাহর বক্তব্য নিতে চেষ্টা করেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
সম্পাদিত//