মাহবুব রোকন ও ফারুক ইকবাল।।
মহেশখালী উপজেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়নের ফকিরাঘোনা গ্রামের ধান ক্ষেতের আইলে উপোড় হয়ে পড়ে থাকা অবস্থায় একটি মরদেহ উদ্ধার করেছে মহেশখালী থানা পুলিশ। গতকাল সকালে মরদেহটি উদ্ধার করা হলেও মুখ বিকৃত হয়ে যাওয়ায় দিনভর লাশটির পরিচয় সনাক্ত করা যায়নি। সন্ধ্যারদিকে এটি পাশের এলাকার ২৩ বছর বযসি মো. কায়সার হামিদের মরদেহ বলে নিশ্চিত করে তার পরিবার। এ ঘটনায় অজ্ঞাত ব্যক্তির নামে মামলা করেছে পরিবারটি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে- গতকাল ১ অক্টোবর (মঙ্গলবার) সকাল ৭টার দিকে স্থানীয় কৃষকরা গ্রামের পাশে ধান ক্ষেত ও পানের বরজের মাঝামাঝি আইলের একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। বিষয় দ্রুত এলাকায় জানাজানি হলে ওই এলাকায় উৎসুক জনতা ভিড় জমায়। পরে পুলিশকে খবর দিলে মহেশখালী থানার একদল পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন। এ প্রতিবেদনে নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন আছে বলে উল্লেখ করা হয়।
এদিকে দিনভর লাশটির পরিচয় নিয়ে নানা গুঞ্জন চলে, কিভাবে -কেনো তাকে হত্যা করা হলো, খুনি করা বা ধান ক্ষেতে লাশ ফেলে যাওয়ার কারণ কি? -এ নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন ঘুরপাক খায় উৎসুক মানুষের মনে।
রাতে এ প্রতিবেদন লেখার সময় মহেশখালী থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মো. কাইছার হামিদ জানান- নিহতের পরিবারের সদস্যরা নিহত ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত করেছেন। নিহত ব্যক্তির নাম মো. কায়সার হামিদ (২৩)। তিনি বড় মহেশখালীর পশ্চিম ফকিরাঘোনা এলাকার জনৈক মৃত নুরুল ইসলাম এর পুত্র। তার মায়ের নাম আম্বিয়া খাতুন। ব্যক্তিগত জীবনে নিহত কায়সার অবিবাহিত বলে ওসি জানান।
স্থানীবাসিন্দা এস এম রুবেল জানান- এলাকাবাসী লাশটি পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান। প্রাথমিক ভাবে স্থানীয়রা লাশটির পরিচয় সনাক্ত করতে পারেনি। অন্য কোনো স্থানে লোকটিকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে লাশটি গুম করার উদ্দেশ্য এই জায়গায় ফেলে যেতে পারে বলে তিনি ধারণা করেন।
এলাকার প্রত্যক্ষ্যদর্শীরা জানান- বড় মহেশখালী ইউনিয়নের আওতাধীর ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম ফকিরাঘোনার গুরাপাড়া নামের ওই এলাকায় সকালে পানের বরজের মালিক মো. হেলাল পান ক্ষেতে কাজ করতে গিয়ে প্রথমে লাশটি দেখতে পান, পরে বিষয়টি জানাজানি হয়। ওই ব্যক্তি একটি হলুদ হাফপ্যান্ট ও কালো টিশার্ট পরা ছিলেন এবং গলায় একটি কালো কাপড় প্যাচানো ছিলো। তার মুখ ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। দেহে খানিকটা পচন ধরেছে এবং লাশ কিছুটা বিকৃত হয়ে দুর্গন্ধ বেরুচ্ছে। মরদেহ অবস্থা বিবেচনায় তাকে দুইএকদিন আগেই পিটিয়ে খুন করা হয়েছে এবং পরে লাশ উদ্ধারের আগের রাতে বৃষ্টির সময় মরদেহটি এখানে রেখে যাওয়া হয় বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা। নিহত ওই ব্যক্তি এক সময় মাদ্রাসায় পড়তো, ব্যক্তিগত জীবনে তিনি কোনো অপরাধের সাথে জড়িত ছিলেন না বলেই স্থানীয়রা জানতেন, বর্তমানে দিনমজুর হিসেবে কাজ করতেন। এই গ্রামেই খুনের ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে বলে ধারনা তাদের।
এদিকে সকালেই মহেশখালী থানার উপ-পরিদর্শক মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম গিয়ে লাশ উদ্ধার করে দুপুর নাগাদ কক্সবাজার হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। পরে সন্ধ্যায় নিহতের স্বজনরা কক্সবাজার হাসপাতালে গিয়ে তাকে সনাক্ত করেন।
মহেশখালী থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মো. কাইছার হামিদ জানান- রাতেই এ ঘটনায় নিহতের ভাই মোহাম্মদ ফারুক বাদি অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন। মামলাটি তদন্ত করছেন মহেশখালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুজিবুর রহমান। এ খুনের ঘটনার ক্লু বের করতে ও ঘটনার সাথে জড়িতদের খুঁজে আইনের আওতায় আনতে পুলিশ কাজ করছেন বলে জানান ওসি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে- গতকাল ১ অক্টোবর (মঙ্গলবার) সকাল ৭টার দিকে স্থানীয় কৃষকরা গ্রামের পাশে ধান ক্ষেত ও পানের বরজের মাঝামাঝি আইলের একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। বিষয় দ্রুত এলাকায় জানাজানি হলে ওই এলাকায় উৎসুক জনতা ভিড় জমায়। পরে পুলিশকে খবর দিলে মহেশখালী থানার একদল পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন। এ প্রতিবেদনে নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন আছে বলে উল্লেখ করা হয়।
এদিকে দিনভর লাশটির পরিচয় নিয়ে নানা গুঞ্জন চলে, কিভাবে -কেনো তাকে হত্যা করা হলো, খুনি করা বা ধান ক্ষেতে লাশ ফেলে যাওয়ার কারণ কি? -এ নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন ঘুরপাক খায় উৎসুক মানুষের মনে।
রাতে এ প্রতিবেদন লেখার সময় মহেশখালী থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মো. কাইছার হামিদ জানান- নিহতের পরিবারের সদস্যরা নিহত ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত করেছেন। নিহত ব্যক্তির নাম মো. কায়সার হামিদ (২৩)। তিনি বড় মহেশখালীর পশ্চিম ফকিরাঘোনা এলাকার জনৈক মৃত নুরুল ইসলাম এর পুত্র। তার মায়ের নাম আম্বিয়া খাতুন। ব্যক্তিগত জীবনে নিহত কায়সার অবিবাহিত বলে ওসি জানান।
স্থানীবাসিন্দা এস এম রুবেল জানান- এলাকাবাসী লাশটি পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান। প্রাথমিক ভাবে স্থানীয়রা লাশটির পরিচয় সনাক্ত করতে পারেনি। অন্য কোনো স্থানে লোকটিকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে লাশটি গুম করার উদ্দেশ্য এই জায়গায় ফেলে যেতে পারে বলে তিনি ধারণা করেন।
এলাকার প্রত্যক্ষ্যদর্শীরা জানান- বড় মহেশখালী ইউনিয়নের আওতাধীর ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম ফকিরাঘোনার গুরাপাড়া নামের ওই এলাকায় সকালে পানের বরজের মালিক মো. হেলাল পান ক্ষেতে কাজ করতে গিয়ে প্রথমে লাশটি দেখতে পান, পরে বিষয়টি জানাজানি হয়। ওই ব্যক্তি একটি হলুদ হাফপ্যান্ট ও কালো টিশার্ট পরা ছিলেন এবং গলায় একটি কালো কাপড় প্যাচানো ছিলো। তার মুখ ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। দেহে খানিকটা পচন ধরেছে এবং লাশ কিছুটা বিকৃত হয়ে দুর্গন্ধ বেরুচ্ছে। মরদেহ অবস্থা বিবেচনায় তাকে দুইএকদিন আগেই পিটিয়ে খুন করা হয়েছে এবং পরে লাশ উদ্ধারের আগের রাতে বৃষ্টির সময় মরদেহটি এখানে রেখে যাওয়া হয় বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা। নিহত ওই ব্যক্তি এক সময় মাদ্রাসায় পড়তো, ব্যক্তিগত জীবনে তিনি কোনো অপরাধের সাথে জড়িত ছিলেন না বলেই স্থানীয়রা জানতেন, বর্তমানে দিনমজুর হিসেবে কাজ করতেন। এই গ্রামেই খুনের ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে বলে ধারনা তাদের।
এদিকে সকালেই মহেশখালী থানার উপ-পরিদর্শক মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম গিয়ে লাশ উদ্ধার করে দুপুর নাগাদ কক্সবাজার হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। পরে সন্ধ্যায় নিহতের স্বজনরা কক্সবাজার হাসপাতালে গিয়ে তাকে সনাক্ত করেন।
মহেশখালী থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মো. কাইছার হামিদ জানান- রাতেই এ ঘটনায় নিহতের ভাই মোহাম্মদ ফারুক বাদি অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন। মামলাটি তদন্ত করছেন মহেশখালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুজিবুর রহমান। এ খুনের ঘটনার ক্লু বের করতে ও ঘটনার সাথে জড়িতদের খুঁজে আইনের আওতায় আনতে পুলিশ কাজ করছেন বলে জানান ওসি।