লবণ ব্যবসায়ি নুরুল হক বলেন, সমিতি থেকে জমি ইজারা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চাষ করে আসছি। চলতি মৌসুমে একদল সঙ্ঘবদ্ধ লোক চাষীদের কাছ থেকে চাঁদা দাবী করে আসছে। চাঁদা না দেওয়ায় ১৫/২০ জন এ হামলা চালায়।
আইনজীবীরা দীর্ঘ এক মাস দুই পক্ষের কাগজপত্র যাচাই করে লিখিত রায় প্রদান করেন। রায়ে ওই জমির মালিক বড় মহেশখালী মাল্টিপারপাস সমবায় সমিতি বলে
রায়ে উল্লেখ করেন। এই রায় থানার ওসি দু‘পক্ষের কাছে হস্তান্তর করেন। বৈঠকের পুর্বে রায় মেনে নেবে বলে ওসির কাছে দু‘পক্ষই স্টাম্প প্রদান করেন। বিচারের রায় তাদের বিরুদ্ধে যাওয়ায় ওসির নির্দেশ ও রায় উপেক্ষা করে লবণ চাষীদের বিভিন্নভাবে চাষে বাধা প্রদান ও চাঁদা দাবী করে চলেছে। এমনকি হত্যার হুমকিও দিচ্ছে প্রতিনিয়ত।
চাষীরা অভিযোগ করে জানান, বড় মহেশখালী ফকিরা ঘোনা গ্রামের একদল লোক প্রতিদিন লবণ চাষে বাধা দিচ্ছে। তারা ইতোমধ্যে ৩০ লাখ টাকা চাঁদাও দাবী করেছে। না দিলে প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে।
সমিতির লোকজন আশংকা প্রকাশ করে জানান, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা না হলে এলাকায় আইনশৃংখলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটার আশংকা রয়েছে।
মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাইছার হামিদ জানিয়েছেন, ঘটনার কথা তিনি শূনেছি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরো জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে উভয় পক্ষকে ডেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই-বাচাই করার জন্য আইনজীবী প্যানেল গঠন করে রায় প্রদান করা হয়েছে। রায় অগ্রাহ্য করে কেউ শান্তি শৃংখলা বিঘ্নিত করার চেষ্টা করলে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
সূত্র: দৈনিক কক্সবাজার