Advertisement


মামলায় নিরাপদ ব্যক্তি যেন হয়রানির শিকার না হয়- ফেসবুক পোস্টে শাহরিয়ার ইয়ামিন


নিজস্ব বার্তা পরিবেশক।। মহেশখালী থানায় আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি আশেক উল্লাহ রফিক, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ধর্মবিষয়ক সম্পাদক এড. সিরাজুল মোস্তাফা, মহেশখালী পৌরসভার মেয়র মকসুদ মিয়াসহ ১৫৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলায় আরও ৫০ থেকে ৭০ জন অজ্ঞাত আসামি করা হয়। মামলাটি করেছেন উপজেলার কালামার ছড়া এলাকার শিক্ষার্থী ইয়াছিন আরাফাত। 
৩ মার্চ রাতে মামলাটি থানায় নথিভুক্ত হওয়ার পরদিন মামলার এজাহারের পূর্ণাঙ্গ ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর শুরু হয় নেটিজেনদের নানা প্রতিক্রিয়া। অনেক ফেসবুক ব্যবহারকারী মামলার এজাহারে মিথ্যা তথ্য দেওয়া ও নিরীহ ব্যক্তিকে আসামি তালিকায় যুক্ত দেখে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ ফেসবুকে নিজের অভিমত লিখতে থাকেন। মামলার আবেদনের সাথে ভিন্নমত প্রকাশ ও বাদির অবস্থান নিয়েও প্রশ্ন তুলতে দেখা গেছে অনেক শিক্ষার্থীকেও। এমন পটভূমিতে নিজের ফেসবুক ওয়ালে একটি পোস্ট প্রকাশ করেছেন গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ এর কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব শাহরিয়ার মোহাম্মদ ইয়ামিন। নিচে তার ফেসবুক পোস্টটি হুবহু প্রকাশ করা হলো। 

" মহেশখালীতে যে মামলা হয়েছে সেখানে ব্যাক্তি আক্রোশ এবং ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিট ধারণ করে এমন কাউকে আসামী বানানো কোনভাবেই সমীচীন নয়। কোন নিরঅপরাধ ব্যাক্তি কোনভাবে হয়রানি হোক সেটা কখনোই কাম্য না। ইতোমধ্যে এজহারটি ভালোভাবে খোঁজ নিয়ে নিরঅপরাধ ব্যাক্তিদের বাদ দেওয়ার ব্যাপারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। 

বেশ অনেকদিন আগে মামলার বাদী এবং ভিক্টিম মামলা করার আগ্রহ প্রকাশ করে এবং আমাদের সহযোগিতা চায়। তখন আমি বিষয়টা নিয়ে দায়িত্বশীল জায়গা থেকে বৈষম্যবিরোধীর কেন্দ্রীয় লিগ্যাল সেলের সাথে যোগাযোগ করিয়ে দিই এবং ওসি সাহেবের সাথে কথা বলে ভিক্টিমকে সহযোগিতা করতে বলি।

পরে মামলায় কে আছে বা নাই সেটা আমি কোনভাবেই অবগত ছিলাম না। এই ব্যাপারে আমার সাথে যোগাযোগও ছিলোনা। আমি আমার দায়িত্বের জায়গা থেকে প্রশাসনকে কেবল সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ করেছিলাম। ওসি সাহেব ভিক্টিমকে সর্বোচ্চ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছিলেন।

কিন্তু, এখন দেখতেছি মামলাতে বেশকিছু নিরঅপরাধ ব্যাক্তিদের নাম এসেছে যা দুঃখজনক। যাচাই-বাছাই পূর্বক তাদের নাম প্রত্যাহারের আহ্বান জানাচ্ছি। সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিদের সাথে কথা বলেছি যেন নিরঅপরাধদের বাদ দেওয়া হয়। একইসাথে কোন অপরাধী বাদ গেলে তাদের যেন চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।"