উদ্ধার হওয়া অস্ত্রগুলো মহেশখালীর কালারমারছড়া ইউনিয়নের মিজ্জিরপাড়া থেকে বাঁশখালীর উদ্দেশে পাচার হচ্ছিল। গোপন সূত্রে তথ্য পেয়ে র্যাব ও কোস্টগার্ড যৌথভাবে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে। বদরখালীর প্রবেশপথে নজরদারি বাড়ানো হয়, গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি চালানো হয় এবং সন্দেহজনক গতিবিধির ওপর কড়া নজর রাখা হয়। একপর্যায়ে একটি সিএনজি অটোরিকশা থামিয়ে পানের বস্তার ভিতর তল্লাশি করে অস্ত্রগুলো উদ্ধার করা হয়। এতে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র চোরাচালানের একটি সুগভীর নেটওয়ার্কের সম্ভাবনার আভাস মিলেছে।
গ্রেফতারকৃতদের একজন হচ্ছেন মহেশখালীর কালারমারছড়া ইউনিয়নের মিজ্জিরপাড়ার বাসিন্দা মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এবং অপরজন চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার সরল গ্রামের মুহাম্মদ আইয়ুব আলী। গ্রেফতারের সময় তাদের ব্যবহৃত সিএনজি অটোরিকশাটিও জব্দ করে যৌথ বাহিনী। ধারণা করা হচ্ছে, এই চক্র দীর্ঘদিন ধরে পান সরবরাহের আড়ালে অস্ত্র পরিবহনের কৌশলে জড়িত ছিল।
সাম্প্রতিক সময়ে মহেশখালী হয়ে পার্শ্ববর্তী চট্টগ্রাম ও টেকনাফে অস্ত্র সরবরাহ বেড়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আগেই সতর্ক হয়। পানের আড়ালে অস্ত্র লুকানোর নতুন কৌশল উদঘাটনের মধ্য দিয়ে এ অভিযোগ আরও জোরালো হয়েছে। র্যাব ও কোস্টগার্ডের এই অভিযান ভবিষ্যতে আরও বড় অস্ত্র চোরাকারবারি চক্রকে উন্মোচনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। সেক্ষেত্রে এ ধরনের সমন্বিত অভিযান নিয়মিতভাবে জোরদার করার দাবি উঠেছে।
মহেশখালীসহ পার্বত্য ও উপকূলীয় এলাকায় চোরাচালান, মাদক ও অস্ত্র পাচার দীর্ঘদিনের সমস্যা। যৌথ বাহিনীর সফল এই অভিযান প্রশাসনিক তৎপরতার ইতিবাচক দৃষ্টান্ত হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে। তবে অনেকেই বলছেন, এ ধরনের চক্র শুধু বাহক দিয়ে সীমাবদ্ধ নয়, এর পেছনে রয়ে গেছে শক্তিশালী প্রভাবশালী পৃষ্ঠপোষকতা। তাই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও গোড়ায় আঘাত হানা না গেলে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আবারও ঘটতে পারে।