মঙ্গলবার (২২ জুলাই) নিয়মিত টহলের অংশ হিসেবে বঙ্গোপসাগরে দায়িত্ব পালনের সময় নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ ‘শহীদ ফরিদ’ মহেশখালী থেকে প্রায় ২৫ নটিক্যাল মাইল পশ্চিমে একটি মাছ ধরার ট্রলারকে ভাসমান অবস্থায় দেখতে পায়।
জাহাজের ক্রু-সদস্যরা লক্ষ্য করেন- ট্রলারটির জেলেরা বিপদসংকেত প্রদর্শন করছেন। বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে যুদ্ধজাহাজটি ট্রলারের দিকে এগিয়ে যায়। কাছে পৌঁছে নৌবাহিনীর সদস্যরা জানতে পারেন- ট্রলারটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে যাওয়ায় জেলেরা বিগত চার দিন ধরে গভীর সমুদ্রে ভেসে আছেন। এ সময় তাদের খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির মজুদ শেষ হয়ে গিয়েছিল এবং তারা চরম কষ্টে ছিলেন।
পরিস্থিতির তাৎক্ষণিক গুরুত্ব অনুধাবন করে নৌবাহিনীর সদস্যরা জেলেদের জরুরি খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেন। এরপর ট্রলারটি ও এর ১৮ জেলেকে নিরাপদে কুতুবদিয়া উপকূলে পৌঁছে দেওয়া হয়। বর্তমানে সবাই সুস্থ আছেন।
উদ্ধার হওয়া জেলেরা জানান- তারা ভোলা জেলার মনপুরা এলাকা থেকে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে সমুদ্রে গিয়েছিলেন। বিপদের মুখে প্রাণ বাঁচানোয় এবং নিরাপদে পরিবারের কাছে ফেরত পৌঁছানোর সুযোগ করে দেওয়ায় তারা বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, দেশের সমুদ্রসীমা রক্ষা, ব্লু-ইকোনমি সংরক্ষণ, চোরাচালান প্রতিরোধ ও জেলেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ নৌবাহিনী নিয়মিতভাবে বঙ্গোপসাগর ও উপকূলীয় এলাকায় একাধিক যুদ্ধজাহাজের মাধ্যমে দিনরাত টহল পরিচালনা করছে, যা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।