ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার (১৪ আগস্ট) ভোর রাতে। এসময় ভুক্তভোগী আব্দুল মালেক জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল দিয়ে পুলিশের সহযোগিতা কামনা করেন।
আব্দুল মালেক বলেন, “গভীর রাতে হঠাৎ গুলির শব্দে ঘুম ভেঙে যায়। বাইরে গিয়ে দেখি, এনামুল করিম ও নজির আহমেদের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা এলাকায় প্রবেশ করে অস্ত্রের মহড়া দিচ্ছে। তারা কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে আমাদের জমিতে ঘেরা বেড়া দিয়ে দখল করে নেয়। আমরা প্রতিবাদ করলে আমাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় এবং ভয় দেখিয়ে ঘরে ঢুকিয়ে দেয়।”
স্থানীয় সূত্র জানায়, বড় মহেশখালী মৌজার বিএস খতিয়ান নম্বর ২৬৭, আরএস ৫৬ ও ৫৭ এর অন্তর্ভুক্ত জমিগুলো দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে আব্দুল মালেক গং পৈতৃক সূত্রে ভোগদখল ও চাষাবাদ করে আসছেন। কিন্তু সম্প্রতি স্থানীয় প্রভাবশালী এনামুল করিম গং জমিটি নিজেদের দাবি করে আদালতে বণ্টন মামলা করেছেন। বর্তমানে মামলাটি চলমান।
এ অবস্থায় রাতের অন্ধকারে একদল সন্ত্রাসী নিয়ে তারা জমি দখলের চেষ্টা চালান বলে অভিযোগ।
স্থানীয়রা জানান, এনামুল করিম ও নজির আহমেদ দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে আসছেন। তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, জমি দখল ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এমনকি তাদের বিরুদ্ধে মহেশখালী থানায় মামলা চলমান বলেও জানা গেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ— অস্ত্রধারী বাহিনী ব্যবহার করে তারা সাধারণ মানুষের জমি দখল ও চাঁদাবাজি করে থাকে।
একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “আব্দুল মালেক গং ও নজির আহমেদ গংয়ের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ আছে ঠিকই, তবে গভীর রাতে গুলি ছুড়ে এভাবে জমি দখল করার ঘটনা অমানবিক ও আইনশৃঙ্খলার জন্য হুমকি।”
এ বিষয়ে মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল হক বলেন, “৯৯৯ এ ফোন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”