তবে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ৪ সেপ্টেম্বরের মহারণ। এই দিনে মাঠে নামবে গত আসরের চ্যাম্পিয়ন মহেশখালী উপজেলা দল। তাদের প্রতিপক্ষ শক্তিশালী ঈদগাঁও উপজেলা। সমর্থকদের চোখ এখন সেই ম্যাচে, আশা করা হচ্ছে যেখানে শিরোপা রক্ষার পথে প্রথম লড়াইয়ে মাঠ কাঁপাবে মহেশখালীর ফুটবলাররা।
জানা গেছে- মহেশখালী দলের প্রস্তুতি এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। প্রতিদিন কঠোর প্রশিক্ষণে মাঠে ঘাম ঝরাচ্ছেন খেলোয়াড়রা। টেকনিক্যাল অনুশীলনের পাশাপাশি ফিটনেস ও টিমওয়ার্কের দিকেও গুরুত্ব দিচ্ছে দলটি।
দলের অনুশীলন মাঠে নিয়মিত উপস্থিত থেকে খেলোয়াড়দের অনুপ্রেরণা দিচ্ছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হেদায়েত উল্ল্যাহ্। পাশাপাশি টিম অফিসিয়ালরাও প্রতিটি ধাপে খেলোয়াড়দের পাশে থাকছেন।
দলের একজন ডিফেন্ডার বলেন- আমরা শুধু খেলতে নামবো না, মাঠে লড়াই করবো। মহেশখালীর সুনাম ধরে রাখাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।
এবারের মহেশখালী দলের সবচেয়ে বড় শক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে- জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার ও বসুন্ধরা কিংসের সাবেক অধিনায়ক তৌহিদুল আলম সবুজকে। মাঠে তার উপস্থিতি শুধু অভিজ্ঞতা নয়, দলের তরুণদের জন্যও অনুপ্রেরণা হিসেবেও দেখা হচ্ছে।
মহেশখালীর ক্রিড়াপ্রেমি সমর্থকরা বিশ্বাস করেন, তার নেতৃত্বে দল আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠবে।
এক প্রবীণ ফুটবলপ্রেমীর ভাষ্য- সবুজ মানেই মাঠে ভরসা। তার অভিজ্ঞতা মহেশখালীর তরুণদের খেলা বদলে দেবে।
বলা হয়- ডিসি গোল্ডকাপ শুধুই একটি ফুটবল টুর্নামেন্ট নয়, এটি কক্সবাজারের ক্রীড়া ঐতিহ্যের প্রতীক হিসেবেও বিবেচনা করা হয়। খেলাকে কেন্দ্র করে মাঠে-গ্যালারিতে জমে ওঠে এক মিলনমেলা।
ক্রীড়াপ্রেমীরা আশা করছেন, এবারের টুর্নামেন্ট আরও রোমাঞ্চকর ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। আর মহেশখালী উপজেলাবাসীর একটাই স্বপ্ন- শিরোপা ধরে রাখা।
উল্লেখ্য, মহেশখালী উপজেলা ফুটবল দল বরাবরই কক্সবাজার ফুটবলের শক্তিশালী প্রতিনিধিত্ব করে আসছে। ২০২৩ সালে তারা চ্যাম্পিয়ন হয় এবং প্রথমবারের মতো জেলা পর্যায়ে শিরোপা ঘরে তোলে। এর আগে একই আসরে রানার্সআপ হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
স্থানীয় লীগ এবং বিভিন্ন প্রীতি ম্যাচেও মহেশখালী দল ধারাবাহিকভাবে ভালো পারফর্ম করে আসছে। খেলোয়াড় তৈরির ক্ষেত্রেও মহেশখালী কক্সবাজার জেলার এক অন্যতম ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত।