আ ন ম হাসান।। কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কউক) নতুন সদস্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মহেশখালীর সন্তান, সাংবাদিক রকিয়ত উল্লাহ। ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে সরকারের গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাকে এ পদে নিয়োগ দেন।
দায়িত্ব পাওয়ার পর সাংবাদিক রকিয়ত উল্লাহ বলেন- কক্সবাজারকে একটি আধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন নগরীতে গড়ে তোলার স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমি কাজ করতে চাই। উন্নয়ন, পরিবেশ সংরক্ষণ ও জনস্বার্থের বিষয়গুলো আমার মূল অঙ্গীকার হবে।
কউকের সদস্য হিসেবে তার দায়িত্বের মধ্যে রয়েছে কক্সবাজার মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, ভূমি ব্যবহার ও পর্যটন উন্নয়ন পরিকল্পনা, সড়ক ও অবকাঠামো উন্নয়ন, অবৈধ দখল ও নির্মাণ প্রতিরোধ, পরিবেশ সংরক্ষণ এবং বাজেট প্রণয়ন ও ব্যবস্থাপনা। একই সঙ্গে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, উন্নয়নকাজে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা এবং সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করাও তার দায়িত্বের অংশ হবে।
কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন- সাংবাদিক রকিয়ত উল্লাহ দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজারের উন্নয়ন, পরিবেশ ও সামাজিক ইস্যুতে কাজ করছেন। তার নিয়োগ কউকের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল ও জনবান্ধব করবে বলে আমরা আশাবাদী।
স্থানীয় সূত্র জানায়, রকিয়ত উল্লাহর নিয়োগ কক্সবাজারবাসীর প্রত্যাশাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। অনেকে মনে করছেন, সাংবাদিকতা ও মানবাধিকারকর্মী হিসেবে মাঠপর্যায়ের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা তাকে এ দায়িত্ব পালনে বাড়তি সুবিধা দেবে।
ব্যক্তিগত জীবনে রকিয়ত উল্লাহ কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার কালারমার ছড়ার উত্তর নলবিলা গ্রামের সম্ভ্রান্ত সোলতান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আমানত উল্লাহ উল্লাহ তৎকালীন প্রেসিডেন্ট সোলতান আহমেদ চৌধুরী পরিবারের সদস্য এবং তিনি শিল্পপতি মরহুম জয়নাল আবেদীন চৌধুরীর চাচাতো ভাই।
শিক্ষাজীবনে তিনি উত্তর নলবিলা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক শেষ করে বদরখালী কলোনাইজেশন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি সম্পন্ন করেন। পরে মহেশখালীর আলমগীর ফরিদ বিএম কলেজ থেকে এইচএসসি, কক্সবাজার সরকারি কলেজ থেকে হিসাববিজ্ঞানে বিবিএ ও এমবিএ সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে কক্সবাজার আইন কলেজ থেকে এলএলবি শেষ করে শিক্ষানবিশ আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন।
অধ্যয়নকাল থেকেই তিনি মানবাধিকার ও উন্নয়নমূলক সংগঠনে যুক্ত ছিলেন। পাশাপাশি সাংবাদিকতা পেশায়ও সক্রিয় রয়েছেন। বর্তমানে তিনি দৈনিক কালের কণ্ঠ, দৈনিক সকালের কক্সবাজার, মহেশখালীর সব খবর ও টেলিগ্রাম নিউজে কর্মরত। এছাড়াও তিনি দৈনিক কালবেলা, দেশ রূপান্তর, সকালের সময়, দৈনিক বাকখালী ও দৈনিক দৈনন্দিনসহ বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক গণমাধ্যমে কাজ করেছেন।
সাংবাদিক সমাজ ও স্থানীয় উন্নয়নকর্মীরা মনে করছেন, রকিয়ত উল্লাহর যোগদান কউকের চলমান কার্যক্রমে নতুন মাত্রা যোগ করবে এবং কক্সবাজারকে একটি পরিকল্পিত, আধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলার প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
প্রসঙ্গত, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় একই প্রজ্ঞাপনে আরও দুইজনকে কউকের সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন প্রফেসর ডা. মায়েনু এবং মো. সরওয়ার আলম। নবনিযুক্ত এ তিন সদস্য আজ ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ থেকে আগামী ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৮ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন।