আটক ব্যক্তিরা হলেন- সেলিম উল্লাহ ও শহিদুল ইসলাম লিটন। তারা মৃত ব্যক্তির নামে ইস্যুকৃত একটি চেক নিয়ে ব্যাংকে টাকা তুলতে আসেন। ব্যাংক কর্মকর্তাদের সন্দেহ হলে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানা পুলিশকে জানানো হয়।
পরে মহেশখালী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মঞ্জুরুল হক বলেন, ব্যাংক কর্তৃপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শহিদুল ইসলাম লিটন ছোট মহেশখালীর নলবিলা এলাকার সিরাজুল ইসলাম মেম্বারের ছেলে। সম্প্রতি বিভিন্ন অফিসে নিয়মিত দালালি করে আসছেন। সেলিম উল্লাহর হয়ে ব্যাংক থেকে টাকা তোলার চেষ্টা করছিলেন তিনি।
ব্যাংক ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সেলিম উল্লাহর স্ত্রী রোজিনা আক্তার সম্প্রতি মারা গেছেন। মৃত্যুর সময় তার নামে সোনালী ব্যাংকে একাধিক হিসাব ছিল, যেখানে এক লাখ টাকারও বেশি জমা ছিল। নিয়ম অনুযায়ী, একাউন্টধারীর মৃত্যুর পর নমিনি বা বৈধ উত্তরাধিকারীর আবেদন ও প্রমাণপত্রের ভিত্তিতে টাকা উত্তোলনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
কিন্তু সেলিম উল্লাহ বিষয়টি গোপন রেখে মৃত স্ত্রীকে জীবিত দেখিয়ে তার স্বাক্ষর জাল করে ১ লাখ ৪ হাজার টাকার একটি চেক ইস্যু করেন এবং দালাল শহিদুল ইসলাম লিটনকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাংকে টাকা তুলতে আসেন।
এসময় ব্যাংক কর্মকর্তারা চেকের স্বাক্ষরে গরমিল দেখে একাউন্টধারীকে হাজির করতে বলেন। তখন সেলিম উল্লাহ স্বীকার করেন যে তার স্ত্রী ইতিমধ্যে মারা গেছেন। এর পর শহিদুল ইসলাম লিটন নিজ পরিচয় ব্যবহার করে কর্মকর্তাদের ওপর চাপ প্রয়োগের চেষ্টা করেন।
পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠলে ব্যাংক কর্মকর্তা বিষয়টি পুলিশকে জানান। পুলিশ উপস্থিত হয়ে দু’জনকেই আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
পুলিশ বলছে, ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য কেউ থাকলে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।
