স্থানীয় সূত্র জানায়, স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হিসেবে পরিচিত আবু মোজাহেদ মোহাম্মদ মোক্তার প্রশাসনের নীরবতাকে পুঁজি করে ও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এই জনগুরুত্বপূর্ণ সাইক্লোন সেল্টারটি ব্যক্তিগত বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার করে আসছিলেন। সেখানে গড়ে তোলা হয়েছিল বিশাল আকারের পোলট্রি ফার্ম। একাধিকবার অভিযোগ ওঠার পর অবশেষে আজ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, দুর্যোগকালে মানুষের জীবন রক্ষার জন্য নির্মিত এই সাইক্লোন সেল্টারটি দীর্ঘদিন প্রশাসনিক তদারকির বাইরে ছিল। সেই সুযোগেই ধাপে ধাপে পুরো ভবন দখল করে নেওয়া হয়। অভিযোগ রয়েছে, এই দখলদারিত্বের পেছনে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কিছু নেতার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রশ্রয় ছিল।
সচেতন মহল এই ঘটনায় উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ এই জনপদে সাইক্লোন সেল্টার সাধারণ মানুষের নিরাপদ আশ্রয়ের একমাত্র ভরসা। দীর্ঘদিন এটি দখলে থাকায় ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের সময় এলাকার মানুষ চরম ঝুঁকিতে ছিল। তাঁরা বলেন, প্রশাসন চাইলে এটি সংস্কার করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মাদ্রাসা কিংবা এতিমখানার মতো জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যবহার করতে পারে।
এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “এই সেন্টার আমাদের বিপদের আশ্রয় ছিল। আজ সেটায় মুরগির ফার্ম দেখা গেছে- এটা আমাদের জন্য লজ্জার। আজ প্রশাসন ব্যবস্থা নিয়েছে, এতে আমরা স্বস্তি পেয়েছি।”
এ বিষয়ে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমরান মাহমুদ ডালিম জানান, বড় মহেশখালী ইউনিয়নের পশ্চিম ফকিরাঘোনা ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সিসিডিবি সাইক্লোন সেল্টার দখল করে অবৈধভাবে মুরগির ফার্ম নির্মাণ করায় তা উচ্ছেদ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের কোনো অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত হলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি সতর্ক করেন। তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করায় সংবাদকর্মীদের ধন্যবাদ জানান ইউএনও।
সচেতন মহল দ্রুত দখলমুক্ত হওয়া সাইক্লোন সেল্টারটি যথাযথভাবে সংস্কার করে দুর্যোগকালীন আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে পুনরায় চালু করার জোর দাবি জানিয়েছেন।
মাহবুব রোকন//
