Advertisement


মহেশখালী পৌরসভায় বিএনপি প্রার্থীর খবর নেই

মাহাবুবুর রহমান, মহেশখালী থেকে ফিরে : ২০ মার্চ দ্বীপ উপজেলা মহেশখালী পৌরসভার নির্বাচন। এটি এই পৌরসভার তৃতীয় মেয়াদের নির্বাচন। ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত মহেশখালী পৌরসভার সাধারণ ভোটাররা জানিয়েছেন, নাগরিক সেবার মান না বাড়লেও প্রতিবার নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা হয়। এবারই প্রথম স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয়ভাবে হওয়ায় নির্বাচনী আমেজেও এসেছে ভিন্ন রূপ। সরজমিনে গিয়ে নির্বাচন নিয়ে সাধারণ ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে বেশির ভাগ ভোটাররা ২০ মার্চ সুষ্ঠুভাবে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারবে কিনা তা নিয়ে সবাই সন্ধিহান। মহেশখালী পৌরসভার গোরকঘাটা বাজার এলাকার ব্যবসায়ি শামসুল আলম বলেন, এবারই প্রথম দলীয় মনোনয়নে পৌরসভা নির্বাচন হচ্ছে নির্বাচনে বর্তমান মেয়র আলহাজ্ব মকসুদ মিয়া ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। আর নাগরিক কমিটির ব্যানারে সতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে শক্ত অবস্থানে আছেন সাবেক মেয়র সরওয়ার আজম। তিনিও আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। আর বিএনপির ধানের শীষ নিয়ে মেয়র নির্বাচন করছেন মহিউদ্দিন বাশি। তবে মুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বর্তমান এবং সাবেক মেয়রের মধ্যে অর্থাৎ সরকারি দলের মধ্যেই নির্বাচনী লড়াই হবে। আমার জানা মতে দু জনেই এখন জনপ্রিয়তায় সমানে সমান। সামনের দিনগুলোতে যদি কোন ব্যতিক্রম কিছু না হয় তাহলে লড়াই হবে হাড্ডা হাড্ডি। আর ধানের শীষ নিয়ে যিনি নির্বাচনী মাঠে আছে তার কোন প্রচার প্রচারণা দেখা যাচ্ছে না। আর তিনি মহেশখালী পৌরসভার মতো আসনে মেয়র নির্বাচন করার মত সামর্থবান নয় সেটা বিএনপি সহ-সাধারণ মানুষ সবাই জানে। এ সময় পাশে থাকা ভোটার নুরুল কবির বলেন বিএনপির প্রার্থীকে দেওয়া হয়েছে হেরে যাওয়ার জন্য। পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের ভোটার মংনি রাখাইন বলেন ২০০২ সালে এই পৌরসভা গঠিত হলেও বর্তমান মেয়রের আমলেই মহেশখালীর খুব বেশি উন্নয়ন হয়েছে। এখন পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডের সবক’টি রাস্তা পাকা, এছাড়া পানি স্বাস্থ্যসেবাসহ সবকিছু এখন মানসম্মত। মানুষ অনেক দিন পর নাগরিক সেবা পেয়েছে। আর পৌরসভায় গিয়ে কাউকে হয়রানি পৌহাতে হয় নি। আর তিনি গোপনে বেশির ভাগ গরিব মানুষকে সহযোগিতা করেছেন। তাই আমার মতে ভোটাররা আবারো মেয়র হিসাবে মকসুদ মিয়াকে নির্বাচিত করবে জনগণ। এদিকে ১নং ওয়ার্ডের ভোটার আলী আহম্মদ বলেন, সাবেক মেয়র সরওয়ার আজম একজন সহজসরল মানুষ, যে কোন মানুষের সাথে খুব সহজে মিশে যান। মানুষকে সহজেই আপন করে নিতে পারেন। তিনি মেয়র থাকাকালিন কোন মানুষকে তাকে খোঁজতে বেশি দূরে যেতে হয় নি। মাঠে ময়দানেই তাকে পাওয়া যেত। আর সব মানুষের সাথে খুব আন্তরিকভাবে মিশে কাজ করতো। আর যে কোন বিচার প্রার্থী হয়রানির শিকার হয় নি। তিনি সরজমিনে গিয়ে বাস্তব অবস্থা দেখে তাৎক্ষনিক বিচার করেছেন। যার ফলে মানুষ তাকে ভালবেসে আবারো মেয়র নির্বাচিত করার জন্য অপেক্ষায় আছে। এদিকে ভোটের হিসাব নিকাশে দেখা গেছে প্রায় ১৮ হাজার ভোটার নিয়ে পৌরসভা। এর মধ্যে ১, ২, ৩নং ওয়ার্ডের ভোটার সংখ্যা ৬ হাজার ৮০০ আর এসব ওয়ার্ডেও ভোটাররা সাবেক মেয়র সরওয়ার আজমকে বেশি সমর্থন করছেন। আর ৭, ৮, ৯নং ওয়ার্ডের ভোটাররা বেশি সমর্থন করছে নিজ এলাকার প্রার্থী মকসুদ মিয়াকে এখানে ভোটারের সংখ্যা ৫ হাজার ২০০। এ ব্যাপারে মেয়র প্রার্থী সরওয়ার আজম বলেন আমি পৌরসভার মানুষের চাপে প্রার্থী হয়েছি। সাধারণ ভোটাররা আমাকে এক রকম জোর করে নির্বাচনী মাঠে নিয়ে এসেছে। পৌরসভার প্রতিটি ভোটার মনে করছে আমি সরওয়ার নয় তারা সবাই নারিকেল গাছ নিয়ে প্রার্থী হয়েছে সে হিসাবে কাজ করছে। আমি দৈনিক কক্সবাজারের মাধ্যমে মহেশখালী পৌরসভার নির্বাচনি কাজে দায়িত্বশীল আইনশৃংখলা বাহিনী এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আহবান জানাবো ভোটাররা যেন নিশ্চিন্তে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারে সেটা নিশ্চিত করার জন্য। কোন অবস্থাতেই যেন আইনশৃংখলা পরিস্থিতি নষ্ট না হয় সেদিকে নজর দিতে হবে। আলাপকালে বর্তমান মেয়র নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আলহাজ্ব মকসুদ মিয়া বলেন আমি মেয়র হিসাবে দায়িত্ব পালনকালে কারো কাছ থেকে কোন ধরনের অনৈতিক সুবিধা নিজে নি নাই। আবার কাইকে নিতে দেইনি। আমি সবসময় চিন্তা করেছি এলাকার সঠিক উন্নয়ন। তাছাড়া কোন ব্যক্তি বা দল নয় সবার জন্য সমান উন্নয়ন করেছি। এখানে কোন রাস্তা আর কাচা নেই। তাই আমার মতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতকে আরো শক্তিশালী করতে এবং উন্নয়ন ধারাবাহিকতা রাখতে নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে সাধারণ মানুষ উদগ্রীব হয়ে আছে। তিনি বলেন, ২০ মার্চ উৎসবমুখর পরিবেশে মানুষ ভোট দিতে পারবে। এবং নৌকা বিজয়ী হবে। - See more at: http://www.dainikcoxsbazar.net/?p=84805#sthash.WnXhd2sD.dpuf