সঙ্গবদ্ধ চক্রের নারী সদস্যসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা।। আটক ৩
মহেশখালী। ১৮ এপ্রিল।।
মহেশখালীর স্কুল পড়ুয়া এক কিশোরী ছাত্রীকে সঙ্গবদ্ধ নারী চক্রের মাধ্যমে কক্সবাজার শহরে নিয়ে গিয়ে নানা ভাবে যৌন নির্যাতন চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতনের শিকার মুর্মুষু ওই কিশোরীকে প্রথমে মহেশখালী ও পরে জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এনিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে মেয়েটির বাবা মহেশখালী থানায় ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করছে। এঘটনায় পুলিশ ৩ জনকে আটক করেছে। পুলিশ বলছে বাকি দু’জনকে গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যহত রয়েছে।
মেয়েটির বাবা কালীপদ দে জানান মহেশখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেনীতে পড়ে তার ১৩ বছর বয়সী কিশোরী মেয়ে (নৈতিক কারণে নাম গোপন করা হল)। ১৬ এপ্রিল প্রতিদিনকার মত তার মেয়ে স্কুলে যাওয়ার পথে জনৈক রুবেল এলাকার একটি সঙ্গবদ্ধ নারী চক্রের এক সদস্যকে ব্যবহার করে ফুসলিয়ে তার মেয়েকে নাদী পথে কক্সবাজার নিয়ে যায়।
অভিযোগ রয়েছে পৌরসভার দক্ষিণ হিন্দু পাড়ার মৃত বাদল দাশের পুত্র রুবেল ও তার সহযোগি এলাকার হিরু মোহন্ত, আলীশান রোড় এলাকার সামু দাশ, বাবলু দাশ ও পবন দে মেয়েটিকে স্কুলে যাওয়া আসাকালীন নানা ভাবে উত্ত্যক্ত করত। এই চক্রের নারী সদস্য নিশী রাণী দে’র সহায়তায় মেয়েটিকে কক্সবাজারস্থ হোটেল কক্ষে নিয়ে গিয়ে রুবেলসহ তার সহযোগিরা পালাক্রমে নির্যাতন চালায় বলে মেয়েটির বাবা জানান। পরে সু-কৌশলে কক্সবাজার থেকে মহেশখালী এনে তারাই মেয়েটিকে মহেশখালী হাসপাতালে ভর্তি করায়। এসময় বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকার লোকজন ধাওয়া করে ধর্ষক বাবুল, সামু দাশ, সহযোগী নিশী রানী কে আটক করে মহেশখালী থানায় সোপর্দ করেন।
ধর্ষিতার মা ববিতা রানীদের দাবী করেন মহেশখালীর একটি প্রভাবশালী চক্র অপরাধীদের পক্ষ নিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। এঘটনায় ধর্ষণের অভিযোগে মেয়েটির বাবা কালীপদ দে বাদী হয়ে থানায় ৫ জনের বিরুদ্ধে গতকালই মামলা করেছে।
মামলার আসামীরা হল দক্ষিণ হিন্দুপাড়া গ্রামের মৃত বাদল দাশের পুত্র রুবেল দাশ, একই এলাকার গোপাল মোহন্তের পুত্র হিরু মহন্ত, আলীশান রোড় এলাকার মিলন দাশের পুত্র সামু দাশ, লক্ষণ দাশ এর পুত্র বাবলু দাশ ও পবন দে’র মেয়ে নিশী রাণী দে। মেয়েটির অবস্থা প্রায় সংকটাপন্ন বলে ডাক্তাররা জানিয়েছেন।
এঘটনায় মহেশখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বিষ্ময় ও চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। শিক্ষক ও অভিভাবক মহলে এনিয়ে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
এব্যাপারে মহেশখালী থানার ওসি দিদারুল ফেরদৌস জানান ঘটনার পর দ্রুত মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। ইতোমধ্যে মামলার বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। অন্য অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশের অভিযান অব্যহত রয়েছে। তিনি এধরণের অপরাধকারীকে কোন ভাবেই ছাড় দেওয়া হবেনা বলে জানান।