সিরিজ হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনুন
কালারমার ছড়ার খ্যাতিমান আওয়ামী লীগ তথা মুক্তিযুদ্ধে শহীদ পরিবারের সন্তান ওসমান গণী ওসমান চেয়ারম্যান হত্যার ধারাবাহিকতায় একের পর এক ঠাণ্ডা মাথায় খুনের ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। এলাকার একটি প্রতিক্রিয়াশীল সন্ত্রাসী চক্র নিজেদের অশুভ মিশন বাস্তবায়ন করতে এলাকাটি নেতৃত্ব শূন্য করতে এই মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছে। সম্প্রতি প্রকাশ্যে নোনাছড়ি বাজার এলাকায় কমান্ডো স্টাইলে ব্যবসায়ী মো. রিদোয়ানকে হত্যা করার ঘটনা ছিল এই পরিকল্পিত মিশনেরই একটি অংশ। এলাকার শান্তিপ্রিয় আপামর জনতা কোন ভাবেই এই ষড়যন্ত্র সফল হতে দিবেনা। গতকাল উপজেলার কালারমার ছড়া নোনাছড়ি বাজার এলাকায় এক বিশাল প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা এই অভিমত ব্যক্ত করেন। পূর্ব ঘোষিত এই সমাবেশটি বানচাল করতে নানা ষড়যন্ত্র অব্যাহত ছিল বলে আয়োজকরা জানান। আপামর জনতার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে শেষ পর্যন্ত তা সফল হয়। বিকেলে এলাকার জনপ্রিয় নেতা শহীদ ওসমান গণী চেয়ারম্যানের সন্তান চেয়ারম্যান প্রার্থী তারেক বিন ওসমান শরীফের নেতৃত্বে হাজার হাজার জনতার বিক্ষোভ মিছিলে এলাকা প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। মিছিলটি বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে নোনাছড়ি বাজার এলাকায় প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হন। কালারমার ছড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এই বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মাস্টার বশির আহমদের সভাপতিত্বে ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগ আহ্বায়ক আব্দুস সালামের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জহিরুল আলম বদন সহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। সমাবেশে শহীদ ওসমান গণী চেয়ারম্যানের সন্তান চেয়ারম্যান প্রার্থী তারেক বিন ওসমান শরীফের বক্তব্য শুনতে প্রত্যন্ত এলাকা থেকে অসংখ্য লোক ছুটে আসেন। প্রসঙ্গত: গত ২ নভেম্বর রাত সাড়ে ৯ টার দিকে এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী আব্দুল করিম বদাইয়্যার নেতৃত্বে একদল বন্দুকধারী সন্ত্রাসী কমান্ডো স্টাইলে হামলা চালিয়ে ব্যবসায়ী মো.রিদোয়ানকে নির্মম ভাবে খুন করে। এই ঘটনায় তার ব্যবসায়িক মালিক রমজান আলী গুরুতর আহত হয়ে বর্তমানে হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
এই ঘটনায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে ও ১৮-২০ জনকে অজ্ঞাত আসামী দেখিয়ে হত্যা মামলা দায়ের করে নিহত ব্যবসায়ীর পিতা। মামলায় ৬ জন প্রত্যক্ষদর্শীর নাম উল্লেখ করা হয়। এদিকে বক্তারা বলেন এলাকায় সন্ত্রাসের রাম রাজত্ব কায়েম করতে ও নেতৃত্ব শূন্য করতে একটি প্রভাবশালী চক্র সক্রিয় রয়েছে। যেকোনো মূল্যে এই হত্যা মামলার আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবী জানানো হয়। একই ভাবে এই খুনি-চক্রের হাতে নিহত ওসমান চেয়ারম্যান সহ সকল নিহতের খুনিদের গ্রেফতারের দাবী জানানো হয়।
এই ঘটনায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে ও ১৮-২০ জনকে অজ্ঞাত আসামী দেখিয়ে হত্যা মামলা দায়ের করে নিহত ব্যবসায়ীর পিতা। মামলায় ৬ জন প্রত্যক্ষদর্শীর নাম উল্লেখ করা হয়। এদিকে বক্তারা বলেন এলাকায় সন্ত্রাসের রাম রাজত্ব কায়েম করতে ও নেতৃত্ব শূন্য করতে একটি প্রভাবশালী চক্র সক্রিয় রয়েছে। যেকোনো মূল্যে এই হত্যা মামলার আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবী জানানো হয়। একই ভাবে এই খুনি-চক্রের হাতে নিহত ওসমান চেয়ারম্যান সহ সকল নিহতের খুনিদের গ্রেফতারের দাবী জানানো হয়।