Advertisement


শরনার্থী সংক্রান্ত আইন কেন প্রনয়ন করা হবেনা নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট


প্রেস রিলিজ 
..........................
আজ ১৭/০৯/২০১৭ ইং তারিখে শরনার্থী সংক্রান্ত কেন আইন প্রনয়ন করা হবেনা  নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্ট বিভাগে একটি জনস্বার্থে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানজিম আল ইসলাম বাদী হয়ে এ  রিটটি দায়ের করেন( রিট পিটিশন নং-১৩২০০/২০১৭)। রিটকারি পক্ষে আইনজীবী নিযুক্ত রয়েছেন রাশেদুল হক খোকন। রিটে বলা হয় সম্প্রতি কয়েক লক্ষ রোহিঙ্গা শরনার্থী দেশে আশ্রয় নিয়েছে এবং স্বাধীনতার পর থেকেই লক্ষাধিক রোহিঙ্গা দেশে বসবাস করছে। এছাড়া পাকিস্তানি বিহারীরা শরনার্থী হিসেবে বাংলাদেশে বসবাস করে আসছে। 

বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার মানবিক দিক থেকে রোহিঙ্গা শরনার্থীদের আশ্রয় দিয়েছে। বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘ সনদ এবং সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষনার প্রতি সম্মান রেখে শরনার্থীদের আশ্রয় দিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ ১৯৫১ সালের শরনার্থী বিষয়ক কনভেনশন এবং ১৯৬৭ সালের শরনার্থী বিষয়ক প্রটোকল স্বাক্ষর করেনি। এ কনভেনশন এবং প্রটোকল স্বাক্ষর না করায় সরকার শরনার্থী সংকট  মোকাবেলা করা অনেকটা দুরূহ । 

এছাড়া শরনার্থী সংক্রান্ত দেশে কোন নির্দিষ্ট আইন নেই। বাংলাদেশ সংবিধানের ৩১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ি দেশের প্রত্যক নাগরিকের পাশাপাশি সাময়িকভাবে বাংলাদেশে অবস্থানরত অপরাপর ব্যক্তিগন প্রত্যেকে আইনের আশ্রয় লাভের অধিকারের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সংবিধানের এ বিধান মতে শরনার্থীরা কীভাবে এবং কোন আইনের অশ্রয় নিবে তা আইন দ্বারা নির্ধারিত করা হয়নি বিধায় দেশে শরনার্থী সংক্রান্ত আইন প্রনয়ন করা জরুরী হয়ে পড়েছে।এ সংক্রান্ত আইন না থাকার কারনে এ বিশাল শরনার্থী জনগোষ্ঠী নিয়ন্ত্রন করা এবং এদের সুরক্ষার পাশাপশি দেশের নাগরিকদের সাথে শরনার্থীদের সম্পর্ক নির্ধারন,তাদের প্রাত্যহিক জীবনযাপন এবং শরনার্থীদের সন্তানদের নাগরিকত্ব বিষয়টি সুরাহা করা সম্ভব নয়। 

এছাড়া বাংলাদেশের  নিরাপত্তা,পর্যটন শিল্পের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা কর্মস্ংস্থান এবং অভ্যন্তরীন সার্বিক বিষয় মোকাবেলার কোন আইনি কাঠামো না থাকার কারনে এ নিয়ে বিরাট শূন্যতা দেখা দিবে। হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চেই রিটটির শুনানীর চেষ্টা করা হবে বলে রিট দায়েরকারী আইনজীবীগন জানান।

এইমাত্র হাইকোর্ট থেকে রিট সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র প্রেস রিলিজটি আমাদের কাছে পাঠিয়েছেন।