Advertisement


চলমান ইস্যুঃ ফেসবুকে পোস্ট করবার আগে চিন্তা করা দরকার


মিফতাহুল করিম বাবু।।

“নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন” যেন ভিন্ন কোনো আন্দোলনে রুপ না নিতে পারে। তাই কোনো একটা পোস্ট দেওয়ার আগে প্লিজ দুইটা মিনিট ভাবি -ছাত্রদের আন্দোলনে স্বার্থান্বেষী মহল যে হামলা করেছে তারচেয়ে জঘন্যতম অপরাধ আর হয় না৷ এই অমানবিক অত্যাচার ধামাচাপা পড়ে গেলো ‘ধর্ষন ও খুনের সত্যতা খুঁজতে খুঁজতে’। আপনাদের কয়েকজনের অতিরঞ্জিত স্ট্যাটাস এর কারণে আজ পুরো বাংলাদেশের অভিভাবক মহল ভয়ে কাঁপছে। আপনাদের কারণেই বেগবান আন্দোলন থমকে গেলো মুহুর্তেই।

(এক): চারজন রেইপ এর সত্যতা এখন পর্যন্ত পাওয়া যায় নি। যে চারজন রেইপ হয়েছে, তাদের পরিবার, স্কুল কিংবা বন্ধুবান্ধব কেউই দাবী করছে না তাদের কেউ নিখোজ!

(দুই): ফেসবুকে একজন মেয়ের ছবি পোস্ট দিয়ে বলা হচ্ছে ধানমন্ডি লেকের পাশে এক স্কুল ছাত্রীর মৃত লাশ পাওয়া গেছে। মূলত, মেয়েটির ছবি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের ঘটনার। কমেন্টে ছবি ও লিংক দেওয়া হলো
(তিন): সময় নিউজের একটা স্ক্রীনশর্টের লেখা ‘স্কুলছাত্রীকে ধর্ষনের পর হত্যা’ ছড়াচ্ছেন। মূলত, আজ (৫ আগস্ট) সকালে মেয়েটির স্কুলের বান্ধবীরা তার ঘরের দরজায় অনেকক্ষন নক করলেও সে দরজা খুলে না। পরে দরজা ভেংগে ভেতরে ঢুকলে দেখা যায় মেয়েটির গলায় ফাস দেওয়া লাশ। মেয়েটির ভাই বলে, দরজা খোলার পর প্রতিবেশী এক যুবক পালিয়ে যায়। তাহলে ঘরের মধ্যে স্কুলছাত্রী মারা গেলেই তাকে এই আন্দোলনের সাথে যুক্ত করে গুজব ক্যানো রটাচ্ছি?

(চার): রাস্তার ডিভাইডার লেইনে দাঁড়িয়ে দুইজন যুবক গুলি করতে উদ্ধত হচ্ছে। একটি পক্ষ বলছে- গুলি করা হচ্ছে ছাত্রদেরকে অথচ প্রায় ১৫ সেকেন্ডের ভিডিওটির শুরু কিংবা শেষ কিছুই নাই

(পাঁচ): পুলিশ ছাত্রদের মারছে, এমন সব ভিডিও এর মধ্যে কে বা কারা একটি ভিডিও দিলেন এমন যেখানে দেখা যাচ্ছে ‘পুলিশ শ্রমিকদের বেদম প্রহার করছেন ও ধরে নিয়ে যাচ্ছেন’। এইটাই অনেক পুরোনো ভিডিও। কোনো এক জেলার মোটর রিক্সা উৎখাতের প্রতিবাদ করতে গিয়ে তারা পুলিশের মার খাচ্ছিলো।
(ছয়): ৪ আগস্ট, যে অভিনেত্রী বলেছেন ‘জিগাতলায় এক ছাত্রের চোখ উপড়ে ফেলা হয়েছে ও দুইজনকে হত্যা করা হয়েছে” তিনি গুজব ছড়ানো স্বীকার করেছেন এবং তাকে গ্রেফতার করা হলো। পরে দেখা গেল উনি আওয়ামীলীগের এক কর্মী। সারাদিন না জেনে শুনে যে এইসব শেয়ার দিলেন, তাহলে এই যে একটু পর সবাই অপমানিত হবেন হচ্ছেন, একটুও কি লজ্জা করে না?
বাচ্চাগুলারে হেলমেট পড়া দুস্কৃতকারীরা যে হকিস্টিক নিয়া বেড়ধম মেরে গেলো তার বিচার চাওয়ার মুখ আছে? রাখলেন? সবার কাছে কালার হয়ে গেলেন না? পপুলারে হসপিটালে কিছু বাচ্চা এখনো চিকিৎসাধীন! তাদের খোজ আছে? নিছেন? আপনাদের ধর্ষনের গুজবের কারণে রক্তাক্ত বাচ্চাগুলোর খবর জানলো না বাংলাদেশ কারা আহত করছে তাদের।আপনারা আসলে কোন রেইপ বা হতাহতের বিচার চান না। আপনারা চান রেইপ হোক, মার্ডার হোক। আপনারা নিরাপদ সড়ক চান, না আপনারা চান সরকার পতন? যারা রাস্তায় নেমে ছাত্রদের গায়ে আঘাত করেছে, তারচেয়েও নিকৃষ্ট আপনারা, যারা গুজব রটিয়েছেন। এবং যেই কুলাংগার রা সাধারন ছাত্র/ছাত্রীদের নিরাপত সড়কের জন্য এই ঐতিসিক আন্দোলন কে কুলশীত করেছে দীক্ষার তোদের। কোনো পোস্ট দেওয়ার আগে প্লিজ দুই মিনিট ভাবুন। খুঁজুন অথেন্টিক সোর্স। বাংলাদেশের সব চ্যানেল, সব সাংবাদিক, সব পোর্টাল, সব মানুষ সত্যের বিপক্ষে নয়। রাস্তায় নামুন অথবা ফোন দিন বিশ্বস্ত কাউকে। অযথা শেয়ার নয়…। আল্লাহ সবাইকে রহমত দান করুক|
লেখক: মহেশখালী পৌর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক ও উপ-আপ্যায়ন সম্পাদক 
             -কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি হিসেবে পাওয়া।।