Advertisement


বড় মহেশখালীর বেলালের ফার্মেসিতে নকল ঔষধ, ফার্মেসি ঘেরাও


বড় মহেশখালীতে নকল ঔষধ খেয়ে এক রুগীর শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ার পটভূমিতে বিক্ষুব্ধ জনতা ওই ঔষধ বিক্রয়কারী ফার্মেসি ঘেরাও করে বিক্ষোভ প্রকাশ করেছে। এনিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। অসুস্থ রোগীর অবস্থা বেশ সংকটাপন্ন হয়ে পড়েছে বলে জানাগেছে।

সূত্রের অভিযোগ থেকে জানাযায়, বড় মহেশখালীর বড় ডেইল এলাকার এক নারী -সন্তান প্রসবজনিত কারণে গত ২০ নভেম্বর কক্সবাজার সদর হাসপাতালে অপারেশন হয়। ২৩ নভেম্বর ওই রোগীকে হাসপাতাল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলে মহেশখালীর বাড়িতে ফিরে আসেন। পরে ওই দিন বিকেলে বড় মহেশখালী নতুন বাজারের জনকল্যাণ ফার্মেসি নামের একটি ঔষধের দোকান থেকে ডাক্তারে প্রেসক্রিপশনমত ঔষধ কিনে নিয়ে তা খেতে শুরু করেন। ঔষধ খাওয়ার পর অপারেশনের ওই নারী রোগীর শারীরিক অবস্থার বেশ অবনতি হতে থাকে। এক পর্যায়ে ওই রোগীর অভিভাবকগণ ডাক্তারের পরামর্শ নেয়। ডাক্তার দোকান থেকে কেনা ঔষধে সমস্যা রয়েছে বলে জানান।

রোগীর স্বামী বড় মহেশখালী বড় ডেইল এলাকার বাসিন্দা সৈয়দ নুর জানান -নতুন বাজারের জনকল্যাণ ফার্মেসি থেকে কেনা ঔষধের সাথে ডাক্তার কর্তৃক প্রেসক্রিপশনে লেখা ঔষধের সাথে মিল ছিলো না। পরে গতকাল সন্ধ্যা ৭টার দিকে রোগীর অভিভাবক সৈয়দ নুর প্রেসক্রিপশন ও অবশিষ্ট ঔষধ নিয়ে বড় মহেশখালীর ওই ঔষধের দোকানে যান। এ সময় তিনি এ দোকান থেকে কেনা ঔষধ খেয়ে তার স্ত্রীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার কথা জানান ফার্মেসির মালিক মোঃ বেলালকে। এ সময় বেলাল বেশ উত্তেজিত হয়ে ওই ক্রেতাকে নাজেহাল করতে থাকে। এক পর্যায়ে তার কাছ থেকে ঔষধ কেড়ে নিয়ে ঔষধগুলো নষ্ট করে ছুঁড়ে ফেলে দেয়। পরে ঔষধগুলো প্যাকেটের ভেতর নষ্ট ছিল বলে জানিয়ে তাকে টাকা ফেরত দেন। ইতোমধ্যে আরও বেশ কয়েকজন রোগী ও তাদের অভিভাবক ওই দোকানের সামনে গিয়ে বিভিন্ন সময় তাদেরকে মেদ উত্তীর্ণ ঔষধ ও ডাক্তারের লেখা ঔষধ না দিয়ে নাম সর্বস্ব কোম্পানির ঔষধ দেয় বলে অভিযোগ করতে থাকেন। এ সময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বিক্ষুব্ধ জনতা ও সাধারণ লোকজন মানুষের জীবন মরণ অবস্থা নিয়ে এমন অবৈধ ব্যবসা করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করতে থাকেন।

এ সময় খবর পেয়ে এক দল সাংবাদিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় এবং দোকান মালিক বেলাল এর কাছ থেকে বিষয়টি জানতে চান। এ সময় বেলাল বলেন-মূলতঃ সৈয়দ নুরকে দেওয়া ঔষধগুলো প্যাকেটের ভেতর নষ্ট অবস্থায় ছিলো, এটা খেয়াল না করে ভুলক্রমে ঔষধগুলো বিক্রি করা হয়েছিল। পরে টাকা টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে।

এদিকে স্থানীয় একাধিক সূত্রের অভিযোগ থেকে জানাযায় -দীর্ঘদিন থেকে বড় মহেশখালী জাগিরাঘোনার জনৈক আওয়ামী লীগ নেতার প্রভাব খাটিয়ে এ দোকানে নকল ঔষধ বিক্রি করে আসছিল। ডাক্তারের প্রেসক্রিপশনে লেখা ঔষধ না দিয়ে অধিক লাভের আশায় বিভিন্ন নকল কোম্পানির ঢুকিয়ে দেওয়া হতো। তাছাড়া ফার্মেসি ব্যবসার জন্য ড্রাগ লাইসেন্সসহ রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন সংস্থার ছাড়পত্র লাগলেও এ দোকান কোনো প্রকার অনুমোদন ছাড়া ব্যবসা করে অবৈধ ভাবে আসছিল বলে সূত্রের অভিযোগ।
 
এদিকে ফার্মেসিটির মালিক পক্ষের অভিযোগ -মূলতঃ তাদের ব্যবসার উন্নতি সইতে না পেরে একটি পক্ষ ষড়যন্ত্র করে এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে।