Advertisement


ওসি ফেরদৌসে ভরসা রাখছে মহেশখালী বাসী


সৈয়দুল কাদের::
কুতুবদিয়া থানা থেকে সদ‍্য বিদায়ী অফিসার ইনচার্জ দিদারুল ফেরদৌসের ব্যাপক তৎপরতায় সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত হয়েছে উপজেলাটি। তিনি যোগদানের আড়াই বছরের মধ্যে কুতুবদিয়ায় হয়নি কোন খুন-খারাবি এবং নির্মূল হয়েছে জলদস্যুদের উৎপাত। যার সুফল পাচ্ছেন উপজেলার দেড় লাখ বাসিন্দা। পুরো উপজেলায় এখনও বিরাজ করছে শান্তিপুর্ণ পরিবেশ। যার দরুন কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছে উপজেলার সুশীল সমাজ ও জনপ্রতিনিধিরাও।

আলী আকবর ডেইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুচ্ছফা বি.কম বলেন,‍‍" কুতুবদিয়া থানার বিদায়ী ওসি দিদারুল ফেরদৌস কেবল একজন পুলিশ কর্মকর্তা নন, তিনি একজন শিক্ষকও। তিনি সুযোগ পেলে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সফর করে শিক্ষার্থীদের অভয় দেওয়ার পাশাপাশি ক্লাসও নিতেন। যা অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে কুতুবদিয়ায়। তিনি কুতুবদিয়ায় যোগদান করার আড়াই বছরের মধ্যে কুতুবদিয়ায় একটি খুনও হয়নি, যা একটি রেকর্ড। পুলিশের তৎপরতার কারণে বন্ধ হয়েছে জলদস্যুতা ও অস্ত্রবাজি । এখন পুরো উপজেলায় বিরাজ করছে শান্তির পরিবেশ । আমার মনে হয় কুতুবদিয়াই একমাত্র থানা যেখানে আড়াই বছরে কোন খুন-খারাবি হয়নি। যুগযুগ ধরে ঘাটি করে থাকা জলদুস্যদের সকল আস্তানা ও অস্ত্রবাজি নির্মূল হয়েছে।"

 কুতুবদিয়া কলেজের একজন শিক্ষক জানিয়েছেন- কুতুবদিয়া উপজেলায় বিগত আড়াই বছর ধরে ইভটিজিংসহ শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট কোন অপরাধ সংগঠিত হয়নি। যার ফলে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বেড়েছে। শিক্ষার জন্য ছেলে মেয়েদের আগ্রহও বেড়েছে। এসব সম্ভব হয়েছে থানার ওসি দিদারুল ফেরদৌসের ব্যাপক তৎপরতা ও আন্তরিকতার কারণে। তিনি একজন পুলিশ কর্মকর্তার পাশাপাশি কুতুবদিয়ার শিক্ষা ব্যবস্থাকেও আরো এগিয়ে নিতে কাজ করছেন।
 স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম চৌধুরী জানিয়েছেন- মাদকের আখঁড়ায় পরিণত হওয়া কুতুবদিয়া এখন প্রায় মাদকমুক্ত। দীর্ঘদিন পরে কুতুবদিয়ার মানুষ এখন শান্তিতে ঘুমাতে পারে। থানা ভিত্তিক কোন দালাল চক্র নাই, নেই কোন হয়রানি, সবই সম্ভব হয়েছে ওসি দিদারুল ফেরদৌসের কারণে। সাধারণ মানুষ ন্যায় বিচার পাচ্ছে এখন। যার ফলে মাদক ব্যবসায়ী ও অস্ত্র ব্যবসায়ীদের একটি সিন্ডিকেট পুলিশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। ওসি দিদারুল ফেরদৌস কুতুবদিয়া আদর্শ বিদ্যালয়সহ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইংলিশ ভাষা ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি ওই ক্লাবে নিয়মিত ক্লাসও নেন।
স্থানীয় লোকজনের মতে পুলিশের তৎপরতার কারণে কয়েকজন শীর্ষ অস্ত্র ব্যবসায়ি, জলদস্যু সর্দার ও মাদক ব্যবসায়ি আত্মগোপনে চলে গেছে। এরা আবার সক্রিয় হতে তৎপরতা চালাচ্ছে। প্রশাসন সক্রিয় থাকলে তারা এসব অপকর্ম আর করতে পারবে না।
 এদিকে গত ২ জুন  মহেশখালী থানায় যোগদান করেছেন ওসি ফেরদৌস। যার ফলে আশাবাদী হয়ে উঠেছেন মহেশখালী উপজেলার মানুষজন । উপজেলার সুশীল সমাজ মনে করে যেখানে একজন সফল পরিচ্ছন্ন সাংসদ রয়েছেন সেখানে জনকল‍্যাণে কাজ করতে নবাগত ওসির কোন অসুবিধা হবে না। 
মহেশখালী থানার নবাগত ওসি দিদারুল ফেরদৌস জানিয়েছেন- মহেশখালীর আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ, মাদকের আগ্রাসন ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ নির্মূলে অগ্রাধীকার ভিত্তিতে কাজ করতে চাই। আর এতে  প্রয়োজন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজ ও সাধারণ লোকজনের একান্ত সহযোগীতা।