কাব্য সৌরভ :: উত্তর মহেশখালী
মহেশখালীতে গত কয়েকমাস ধরে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে অভিযোগ ছিল না কারও। বিদ্যুৎ সেবায় সন্তুষ্ট ছিল এই উপজেলার লোকজন। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে কালারমারছড়া থেকে উত্তর নলবিলা পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ লাইনে লোডশেডিং এতটাই বেড়েছে যে, অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে মানুষের জনজীবন।
এই সংযোগ লাইনের পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকরা জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে অনেক চাকুরীজীবি কে বাড়ীতে বসে অনলাইনের মাধ্যমে অফিস করতে হচ্ছে। অনেকের আবার করতে হচ্ছে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন ক্লাস। কিন্তু কালারমারছড়া থেকে উত্তর নলবিলার হয়ে যে তেত্রিশ হাজার ভোল্টের লাইন রয়েছে সে সংযোগ লাইনে ২৪ ঘন্টায় বিদ্যুৎ থাকছে না ৭ ঘন্টাও!
উত্তর নলবিলার বাসিন্দা মাস্টার জেমসেন বড়ুয়া সব খবরকে বলেন, "করোনা ভাইরাসের কারণে অনেক অফিস আদালত বন্ধ। এই সময়েও মহেশখালীর উত্তরাংশে এই লোডশেডিং দুঃখ জনক। আমি নিজে কয়েকবার মহেশখালী পল্লী বিদ্যুতের জোনাল অফিসের জিএম এর কাছে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এই লোডশেডিং এর বিষয়টি জানালেও তিনি কোনো ধরণের পদক্ষেপ নেয়নি।"
ভুক্তভোগী গ্রাহক মনির হোসেন জানান, করোনা পরিস্থিতিতে অনলাইনের মাধ্যমে তাঁকে অফিস পরিচালনা করতে হচ্ছে কিন্তু এই লোডশেডিং এর কারণে তিনি মোবাইল কিংবা ল্যাপটপে চার্জ দিতে পারছেন না।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী তৌহিদুল ইসলাম বলেন, "করোনার কারণে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ক্লাস কার্যক্রম সরকারি নির্দেশনায় বন্ধ রয়েছে। কিন্তু সেমিস্টার গ্যাপ বিবেচনা করে অনলাইনের মাধ্যমে আমাদের কে ক্লাস করতে হচ্ছে। বিদ্যুৎ এর যে লোডশেডিং এতে করে অনলাইনে ক্লাস করতে চরম বিড়ম্বনা পোহাতে হচ্ছে আমাদের"
অভিযোগের বিষয়ে পল্লী বিদ্যুৎ মহেশখালী শাখার জোনাল অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার দিপন চৌধুরী বলেন, "কালারমারছড়া থেকে উত্তর নলবিলা পর্যন্ত যে সংযোগ লাইনটি রয়েছে সে সংযোগ লাইনের সংস্কার কাজ চলছে। যে সমস্ত খুঁটি বিপদজনক তা সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে এবং নতুন খুঁটি স্থাপন করা হচ্ছে। এবং এই তেত্রিশ হাজার ভোল্টের লাইনের একটি সংযোগ কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পে দেওয়া হয়েছে। তাই আগামী এক সপ্তাহ পর্যন্ত কালারমারছড়া থেকে উত্তর নলবিলার এই লাইনে বিদ্যুৎ সরবরাহে কিছুটা বিড়ম্বনা হতে পারে।"
আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এই সংষ্কার কাজ শেষ হলে পূর্বের ন্যায় নিয়মিত বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল হবে।-জানান তিনি।