Advertisement


মাতারবাড়ির দফাদার বিতর্ক নিয়ে যা জানালেন ইউএনও




আ.ন.ম হাসান::

মাতারবাড়ি ইউনিয়নে দফাদার নিয়োগকে ঘিরে সাম্প্রতিক সময়ে সৃষ্টি হয়েছে বিতর্কের। নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে উঠেছে প্রশ্নও। বিষয়টি এরই মধ্যে গড়িয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অবদি। 

স্থানীয় জনসাধারণ ও চাকুরি প্রার্থীদের নানান অভিযোগের বিষয়ে সব খবরের মুখোমুখি হয়েছিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জামিরুল ইসলাম।  

সব খবর’কে মি. জামিরুল ইসলাম বলেন,“স্বজনপ্রীতি কোথায় হচ্ছে? মূলত লোক নিয়োগ দিবে উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা প্রশাসনের আবার স্বজন কে? মহেশখালীর সবাই উপজেলা প্রশাসনের স্বজন। সেক্ষেত্রে সবার প্রতি আমাদের সমান প্রীতি আছে। বিশেষ কারো প্রতি নয়।”

নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “কাউকে তো নিয়োগ দেয়া হয়নি এখনো। প্রাথমিক কাজই শেষ হয়নি। বাছাই কমিটি মাত্র কাগজপত্র বাছাই করছে।এরপর প্রার্থী বাছাই হবে।তারপর আমার কাছে পাঠাবে।আমি সেটা অনুমোদন করতে পারি আবার নাও পারি।”

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উঠা অভিযোগ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রশাসনের সর্বোচ্ছ এই কর্মকর্তা বলেন, “লোক কি নিয়োগ করা হয়েছে? এর প্রক্রিয়া কি? ফেসবুকে যারা লিখে তারা কি সেটা আদৌ জানে?”

“তথ্য সবসময় সঠিক জায়গা থেকে নিয়ে লেখাই ভাল। নিয়োগ হবে আইন এবং নীতিমালা মোতাবেক।এতে কোন ছাড় বা আপোষের সুযোগ নেই ৷”- যোগ করেন তিনি।

প্রঙ্গত:  ২ জুলাই ২০১৮ তারিখে কক্সবাজারের স্থানীয় পত্রিকা দৈনিক বাঁকখালীতে মহেশখালীর উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদে শুন্য পদে গ্রাম পুলিশের (দফাদার-মহল্লাদার) নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রশাসন ৷



শুন্য পদে প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, মাতারবাড়ী ইউনিয়নের ৬, ৯নং ওয়ার্ডের জন্যে ১জন দফাদার ও ২জন মহল্লাদার, ধলঘাটার ৩,৪,৭, ৯ নং ওয়ার্ডের জন্যে ১জন দফাদার ও ৪জন মহল্লাদার, কালারমারছড়ার ৪,৬,৮ নং ওয়ার্ডের জন্যে ৪জন মহল্লাদার, বড় মহেশখালীর ৯নং ওয়ার্ডের জন্যে ১জন মহল্লাদার, ছোট মহেশখালীর  ৭নং ওয়ার্ডের জন্যে ১জন মহল্লাদার, এবং কুতুজোমের ৪নং ওয়ার্ডের জন্যে ১জন মহল্লাদার সহ মোট ১৫জন গ্রাম পুলিশ নিয়োগের বিপরীতে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর নিকট হতে দরখাস্ত আহবান করা হয় ৷

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরে তৎকালিন সময়ে নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে বিজ্ঞপ্তির চাহিদা মোতাবেক  স্ব স্ব পদে প্রায় ১৫জন লোক আবেদন করে ৷