Advertisement


শেখ রাসেল বেঁচে থাকলেও অপশক্তির বিরুদ্ধে কথা বলতেন

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: শেখ রাসেল যদি বেঁচে থাকতেন, তাহলে তিনিও একদিন অপশক্তির বিরুদ্ধে কথা বলতেন বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।
শনিবার (১৩ আগস্ট) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে ‘জাতির নির্মাণ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
আমির হোসেন আমু বলেন, ‘শেখ রাসেল যদি বেঁচে থাকতেন তাহলে তিনিও একদিন রুখে দাঁড়িয়ে অপশক্তির কর্মতৎপরতা নস্যাৎ করে দিতেন। তাই তাকেও খুন করে বিশ্বের বুকে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়ের সৃষ্টি করেছে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি। দেশনেত্রী শেখ হাসিনা কর্মতৎপরতাই তার বাস্তব দৃষ্টান্ত।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ছিল, পূর্ব বাংলার স্বাধীনতা অর্জন। এজন্য তিনি মন্ত্রিত্ব ছেড়ে একটি স্বাধীনচেতা দলের হাল ধরেন। ১৯৫৬ সালে এ দেশে যেসব উন্নতি ঘটে তা আওয়ামী লীগের সময়ই ঘটে। এর আগে কোনো দল দেশের কোনো উন্নয়নই করেনি’।
শোকের মাসের কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ সালে যে হত্যাকাণ্ড হয় তা কোনো সাধারণ হত্যাকাণ্ড ছিল না। সুপরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ড চালানো হয়’।
‘এ হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে শুধু একটি পরিবারই ধ্বংস হয়নি, ধ্বংস হয়েছে একটি পুরো জাতি। আশা ভঙ্গ হয়েছিল সাড়ে সাত কোটি মানুষের’।
‘যারা আজ মুক্তিযুদ্ধের শক্তি বলে দাবি করে বড় বড় কথা বলেন, তারা মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির সঙ্গে আ‍ঁতাত করে দেশে জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করে গণতন্ত্রের সুষ্ঠু ধারাকে বিনষ্ট করার পাঁয়তারা করছেন’- বলেন আমু।
বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামে সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সদস্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. আবুল হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবুল খায়ের প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর জীবনীর ওপর প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তথ্য কমিশনার অধ্যাপক খুরশীদা বেগম।