Advertisement


মহেশখালীতে খাদ্য নিরাপত্তা সংক্রান্ত সভায় ইউএনও আবুল কালাম

সরকার মানুষের জীবনমান উন্নয়নে বহুমুখী কাজ করে চলেছে


সরকার মানুষের জীবনমান উন্নয়নে বহুমুখী কাজ করে চলেছে। এর সুফল ভোগ করছে  প্রান্তিক জনগোষ্ঠীও। খাদ্য নিরাপত্তা ও মানুষের জীবনমান উন্নয়নে দেশের কোন কোন উন্নয়ন সংস্থার কাজ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে বেশ সহায়ক হয়ে উঠেছে। মহেশখালীর বিশাল দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার সবচেয়ে বড় কাজটিই সফলতার সাথে পরিচালিত করছে উন্নয়ন সংস্থা রিক। গতকাল মহেশখালীতে জীবনমান উন্নয়ন ও খাদ্য নিরাপত্তা সংক্রান্ত এক সভায় মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আবুল কালাম এসব কথা বলেন। বেলা ১১ টায় উপজেলা সম্মেলন কক্ষে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা রিক এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই সভায় বিভিন্ন শ্রেনি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আবুল কালামের সভাপতিত্বে ও উন্নয়ন সংস্থা রিক এর ব্যবসা উন্নয়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইব্রাহীম সাকি’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন মহেশখালীর সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিভীষণ কান্তি দাশ, সভায় প্রকল্প সংক্রান্তে মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন সংশ্লিষ্ট প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর সাহেল সানজিদ, বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শামসুল আলম, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাবেদুল হক, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা  নীরেন্দ্র চন্দ্র পাল, এমওসি সদস্য কালারমার ছড়ার ছিদ্দিক আহমদ, বড় মহেশখালীর নুর ইসলাম ও হোয়ানকের এন্তেজার বেগম। সভায় আয়োজকদের তরফ থেকে জানানো হয় গত প্রায় এক বছরের অধিককাল ধরে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির আওতায় রিক মহেশখালীর ৬ টি ইউনিয়নে মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। এই প্রকল্পের আওতায় বর্তমান উপজেলার ৫ হাজার পরিবার উপকার ভোগ করে চলেছেন। এসব পরিবারকে এককালীন ১৫ হাজার টাকা প্রদানসহ মাসিক অনুদান হিসেবে প্রতিমাসে ১ হাজার করে নগদ টাকা দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া সংশ্লিষ্ট এসব পরিবারের সদস্যদের ব্যবসা উন্নয়ন ও আয়-বৃদ্ধিমূলক কাজে প্রশিক্ষিত করে গড়ে তোলা হচ্ছে। 
সভার প্রধান অতিথি সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিভীষণ কান্তি দাশ সংস্থাটির কর্মকান্ডে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন ব্যক্তির সাথে ব্যক্তির প্রাত্যহিক কথোপকথনে ভাষার প্রয়োগ ও আচরণগত পরিবর্তনের লক্ষে সংস্থাটির কাজ এই দুর মফস্বলে একটি ফলদায়ক পরিবর্তন সূচিত করেছে। বিষয়টি আমলে নিয়ে এনজি-সংস্থাগুলোর আরো অধিক কাজ করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন তিনি। বক্তারা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এমন জবাবদিহিমূলক কর্মকান্ডে সন্তোষ প্রকাশ করেন।